ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দ্রুততম সময়ে ফাহাদ হত্যার চার্জশিট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
দ্রুততম সময়ে ফাহাদ হত্যার চার্জশিট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে দ্রুততম সময়ে চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি একথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেন এ হত্যাকাণ্ড, কী উদ্দেশ্যে করা হলো তা তদন্ত করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে আপনারা শুনেছেন যারা যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। ভিডিওফুটেজ দেখে চিহ্নিত করতে পেরেছি। ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর আরও যদি কেউ জড়িত থাকে সবাইকে আমরা ধরবো।  

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেসব দুষ্কৃতকারী এমন কর্মকাণ্ড ঘটায় তাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো তথ্য থাক বা না থাক প্রতিটি ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। পুলিশ যথা সময়ে তাদের গ্রেফতার করতে পেরেছে। ঘটনা ঘটানোর পর তারা হল থেকে বের না হতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ মামলার পূর্ণাঙ্গ চর্জশিট দিতে পারবো। পুলিশ সেই কাজটি করছে।  

‘যাতে চার্জশিটটি নিখুঁত, নির্ভুল হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। এই চার্জশিটের ফলে বিচার কাজ দ্রুত শেষ করা যাবে। আমরা এখন সে কাজটি করেছি। ’ 

২০১১ রুমের ছাত্র অমিত সাহা, ছাত্রলীগের নেতা তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিন্তু তার নামে মামলা হয়নি- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, অমিত সাহাকে সে মুহূর্তে পায়নি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে জানায় পূজার ছুটিতে বাইরে গিয়েছিল। যেভাবেই হোক তাকেতো গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল মামলায় আবরারের বাবা কিছু নাম দিয়ে মামলা করেছিলেন। সেই নামের বাইরেও কিন্তু লোক ধরা হয়েছে।

‘অমিত সাহা বা যে কেউ হোক আমাদের কাছে কোনো বিষয় নয়।  আমাদের দেখা দরকার সে অপরাধী কিনা। অপরাধী হলেই আমরা তাকে ধরছি। যারাই আইন হাতে তুলে নিয়েছেন বা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন তাকেই আমরা চিহ্নিত করে ধরছি। ’ 

বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে র‌্যাগিং বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নেন জবাবে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, এটা যথার্থই বলেছেন, এরকম বেশি দেখা যায় বুয়েটে। জাহাঙ্গীরনগরে কিছুটা হয়। আমাদের কাছে ঢাবির বিষেয় এ ধরনের কোনো তথ্য আসেনি। এই কালচার থেকে কীভাবে বের হয়ে আসবেন এ বিষয়ে যারা ছাত্র নেতৃত্ব দেন ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে ভাববার সময় এসেছে।  

রাষ্ট্রপতি কিশোর গ্যাং বন্ধ করার বিষয়ে বলেছিলেন, প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং আমরা প্রায়শই আটক করছি৷ এজন্য রাতে অভিভাবকদের ডেকে বলছি তাদের ছেলে মেয়েরা কী করছে তা যেন দেখেন। তারা মুছলেকা দিয়ে ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। কিশোর গ্যাং আইন রয়েছে, সেখানে একটা বয়স পর্যন্ত কিছু করতে পারি না। একই সঙ্গে যারা আইন ভাঙেন তাদের কিশোর শোধনাগারে পাঠিয়ে দেই।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন। টেকসই শান্তি ও  উন্নয়ন ধরে রাখতে সুশাসন অপরিহার্য। এজন্য আমাদের চ্যালেঞ্জ সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্যেই শুদ্ধি অভিযান। সুশাসনের জন্য যা যা করার প্রয়োজন করা হবে।  

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।