বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় ইউসুফের ফুফু মমতাজ বেগম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ইউসুফ ইসদাইর গাবতলী মাজার এলাকার মৃত কাশেমের ছেলে।
এর আগে, সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকা থেকে ইউসুফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে ইউসুফকে হত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ইউসুফের ফুফু মমতাজ বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ইউসুফ তার ছোট ভাই মানিককে নিয়ে ফুফুর ফতুল্লা থানার ইসদাইর গাবতলী মাজারের পেছনে একটি বাসায় বসবাস করতেন। গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় ইউসুফ গাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন ভোর সাড়ে ৬টায় একটি নম্বর থেকে তার মোবাইলে ফোন করে জানায় ইউসুফকে কে বা কারা হত্যা করে মরদেহ টানবাজার এলাকায় ফেলে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই মানিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইউসুফকে শনাক্ত করে।
তিনি বলেন, ইউসুফের বুকের ডান পাশে একটি ও পিঠে চারটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয়দের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারী অথবা পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রো দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক মোস্তফা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
আরআইএস/