ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তল্লাশির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তল্লাশির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলগুলোতে তল্লাশির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ও সেখানকার ‘টর্চার সেলে’ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসার পর বুধবার (৯ অক্টোবর) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
 
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।


 
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আ‌ইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে বলবো- যখন এ ঘটনা একটা জায়গায় ঘটেছে, দেখা গেছে ওখানে এক রুম নিয়ে বসে জমিদারি চালানো, প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি হল সব জায়গায় সার্চ করার দরকার।
 
‘কোথায় কী আছে না আছে খুঁজে বের করতে হবে। এ ধরনের কারা মাস্তানি করে বেড়ায়, কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায় সেটা দেখতে হবে। ’
 
শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি হল, শুধু ঢাকা না, সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটা জায়গায় সার্চ করা হবে এবং দেখা হবে সেই নির্দেশটা আমি দিয়ে দেবো। এখানে আপনাদের মাঝে বলে দিচ্ছি সেটা আমরা করবো।
 
সবার সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা বের করে দেন কোথায় এ ধরনের অনিময় উচ্ছৃঙ্খলা বা এ ধরনের কর্মকাণ্ড কারা করছে। কোনো দলটল আমি বুঝি না। পরিষ্কার কথা কোনো দল আমি ‍বুঝি না।
 
তিনি বলেন, সামান্য টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা বা ৩০ টাকা সিট ভাড়া দিয়ে একেকজন রুমে থাকবে, তারপর সেখানে বসে এ ধরনের মাস্তানি করবে, আর সমস্ত খরচ বহন করতে হবে জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে এটা কখনও গ্রহণযোগ্য না।
 
কাউকে ছাড় দেওয়া হবে নাজানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কেউ যদি কোনো অপরাধ করে সে কোন দল, কি করে না করে আমি কিন্তু সেটা দেখি না। আমার কাছে অপরাধী, অপরাধীই। আমি অপরাধী হিসেবেই দেখি।
 
তিনি বলেন, অন্যায় করেছে সে অন্যায়কারী, তার বিচার পাবে। আমি কিন্তু কারও দাবির অপেক্ষা করিনি, নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি, গ্রেফতার শুরু হয়ে গেছে। সিসি টিভি ফুটেজ পাওয়ার পর আরও সহজ হয়েছে ওখান থেকে বেছে বেছে বের করা।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে সে আমার পার্টির! এটাতো কখনও আমি মেনে নেবো না। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগকে ডেকেছি তাদের বলেছি বহিষ্কার করতে এবং পুলিশকে বলেছি গ্রেফতার করতে। আর আন্দোলনই বা কীসের জন্য, বিচার তো হবেই।
 
শেখ হাসিনা বলেন, একটা নীরিহ ছেলেকে ধরে নিয়ে এভাবে মারা, এই নৃশংসতা কেন? এই জগণ্য কাজ কেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি- যত রকমের উচ্চ শাস্তি যা দেওয়ার আছে সব দেওয়া হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

***দেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে, এটা হতে পারে না
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এমইউএম/এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।