ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যুবককে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতারদের রিমান্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
যুবককে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতারদের রিমান্ড নির্যাতনের ছবি

বরিশাল: বরিশালের হিজলায় এক যুবককে অমানবিক কায়দায় নির্যাতনের পর মুখে বদনা (টয়লেটে ব্যবহৃত পানির পাত্র) দিয়ে ময়লা পানি ঢেলে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার তিন জনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাব্বির মো. খালিদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হিজলা উপজেলার হরিনাথপুরের শেওড়া সৈয়দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তারেক আহসান রাসেল।

তিনি জানান, আজম বেপারী নামের যুবককে নির্যাতনের পর মুখে বদনা দিয়ে ময়লা পানি ঢেলে দেওয়ার ঘটনায় তার বাবা মহিউদ্দিন বেপারী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) একটি মামলা করেন। যে মামলায় নামধারী ও অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।

তবে মামলা হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে পুলিশ অভিযানে নেমে নির্যাতনের ঘটনার মূল হোতা মাহাবুব সিকদার, তার সহযোগী আব্দুর রশিদ মাতুব্বর ও কবির সরদারকে আটক করা হয়।

মামলায় তারা এজাহার নামীয় আসামি হওয়ায় তাদের আজ ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে বরিশালের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। সে লক্ষ্যে থানা পুলিশ কাজ করছে।

গত সপ্তাহে হিজলার হরিনাথপুর তালতলা জামে মসজিদ রোড নামক স্থানে টুমচরের বাসিন্দা ও তেল ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বেপারীর ছেলে আজম বেপারীকে (২৫) হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনের পরে মুখে বদনা দিয়ে ময়লা পানি ঢেলে দেয় প্রভাবশালীরা। যে ঘটনার ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।