ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মধ্যরাত থেকে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
মধ্যরাত থেকে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ইলিশ ধরছেন জেলেরা

চাঁদপুর: জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর ২২ দিন অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ থাকবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানা গেছে, অভয়াশ্রম কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর জেলা টাস্কফোর্সের সদস্য, জনপ্রতিনিধি, জেলে নেতা ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এরপরে জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার নদী উপকূলীয় প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকার জেলে পল্লি ও পাড়া মহল্লায় পর্যায়ক্রমে উপজেলা টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।  

মঙ্গলবার সদর উপজেলার পুরান বাজার, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা ঘাট, আনন্দবাজার ও তরপুরচণ্ডী এলাকায় ঘুরে দেখাগেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে মৎস্য আড়ৎ এবং জেলে পল্লিতে ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এসব এলাকায় মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।

আনন্দ বাজার এলাকার জেলে মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর ভর মৌসুমেও পদ্মা-মেঘনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যায়নি। নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন আমরা নদীতে নামবো না। অন্য কাজ করে সংসার চালাতে হবে।

মাছ ধরার নৌকাগুলো এরইমধ্যে ঘাটে অবস্থান নিয়েছেএকই এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মুসলিম বেপারী বলেন, মিঠা পানিতে ইলিশ ডিম ছাড়ে। যার কারণে ঠিক এই সময়ে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের বিচরণ বেড়ে যায়। নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা নৌকা ডাঙায় উঠিয়ে রাখছে। অন্য কাজ না পেলে ২২ দিন জেলেদের বেকার থাকতে হবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বাংলানিউজকে বলেন, নিরাপদ ইলিশ প্রজননের লক্ষ্যে ২২ দিনের অভয়াশ্রম কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স তৎপর রয়েছে। কোনো জেলে ২২ দিন নদীতে নামতে পারবে না। এর সময়ে ২৪ ঘণ্টা টাস্কফোর্সের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। জেলার নিবন্ধিত ৫২ হাজার জেলেকে ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য এরইমধ্যে আমরা মৎস্য আড়ৎ, জেলে পল্লি ও পাড়া মহল্লায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার সাঁটিয়ে দিয়েছি। আইন অমান্য করে কোনো জেলে মাছ ধরলে মৎস্য আইনে সাজা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।