ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বুয়েটছাত্র ফাহাদের বাড়িতে শোকের মাতম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৯
বুয়েটছাত্র ফাহাদের বাড়িতে শোকের মাতম নিহত আবরারের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: বাংলানিউজ

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া শহরের আব্দুর রহিম সড়কে (পিটিআই রোড) বুয়েট ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ২য় বর্ষ ও শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। 

রোববার (৬ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে হলের এক বড় ভাইয়ের মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে তার বাড়ির সদস্যরা জানতে পারেন ফাহাদ আর নেই। তবে পরিবারের সদস্যরা বুঝে উঠতে পারছেন না এত মেধাবী ও শান্তশিষ্ট ছেলেটিকে কারা কী কারণে হত্যা করলো।

জানা যায়, আবরারের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক। ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন আবরার। এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হন আবরার। চান্স পেয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজেও। ভর্তি হন বুয়েট ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে।

বাবা বরকতুল্লাহ ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের কাছেই তার হোস্টেল। কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাসার পাশেই তাদের বাড়ি। তবে গ্রামেরবাড়ি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে।  

শোকার্ত ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন জানান, ১০ দিন আগে ছুটিতে বাড়ি এসেছিল ফাহাদ। ২০ তারিখ পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু সামনে পরীক্ষা তাই গতকালই বাড়ি থেকে তার প্রিয় ক্যাম্পাস বুয়েটে চলে যায়। রাতে ফোন আসে ফাহাদ আর নেই। আমার সন্তানকে যারা এমন নৃংসশভাবে হত্যা করেছে এবং এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

ফাহাদের ভাই ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আবরার ফায়াজ জানান, যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারাই অপপ্রচার চালাচ্ছেন ফাহাদ ছাত্রশিবির করতো। প্রকৃতপক্ষে ফাহাদ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়তো কিন্তু রাজনৈতিক কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে আবরার গত ৫ অক্টোবর এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নিজের ফেসবুকে দু’টি সমালোচনামূলক পোস্ট দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউল হক স্বপন বলেন, ফাহাদ লেখাপড়ায় বরাবরই ভালো ছিল। কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়ার সূত্রে বাবা বরকত উল্লাহ কুষ্টিয়া শহরে বসবাস শুরু করেন। মাঝে মধ্যে ফাহাদও গ্রামের বাড়িতে আসতো। তার আচার-আচারণও অমায়িক ছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।