ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলছে ৪টি ছোট ফেরি, লঞ্চ বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৯
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলছে ৪টি ছোট ফেরি, লঞ্চ বন্ধ

রাজবাড়ী: প্রচণ্ড স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। পাশাপাশি বড় ফেরি চলাচলে ব্যাহত ও ঘাটে এসে পন্টুনে না ভেড়াতে পারায় সব ধরনের বড় আকারের ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি)।

শুধুমাত্র যাত্রী ও জরুরি রোগী পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে ছোট আকারের চারটি ইউটিলিটি ফেরি চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিসি।

এদিকে, ঘাট এলাকায় প্রচণ্ড নদী ভাঙনের কারণে ছয়টি ঘাটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে।

ফেরি ও ঘাট সংকটের কারণে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে জমেছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও সাধারণ যাত্রীরা।

দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় লঞ্চ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চালকেরা। দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া কোনো মতে যাওয়া গেলেও ফিরে আসার সময় স্রোতের বিপরীতে আসাই যাচ্ছেনা। নিরাপত্তার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে এ রুটে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে লঞ্চ চলাচল।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আবদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, স্রোত ও ভাঙনে দৌলতদিয়ার ১ ও ২ ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ঘাট দু’টি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি রয়েছে। তবে স্রোতে ফেরি পারাপার ব্যাহত হওয়ায় এবং আগের চেয়ে সময় বেশি লাগায় ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। এতে ঘাট প্রান্তে কিছু যানবাহন সিরিয়ালে আটকে রয়েছে। দুপুরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতে বড় আকারের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু মাত্র জরুরি সেবা দিতে ছোট আকারের চারটি ইউটিলিটি ফেরি চলাচল করছে। তাই এ রুটে চলাচলকারীদের বিকল্প রুট ব্যবহারের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজবাড়ীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অংকুর বাংলানিউজকে বলেন, ঘাটের উজানে দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নে প্রচুর ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে যদি ওই দুই ইউনিয়ন  ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে পানির স্রোত সরাসরি ঘাটে এসে পড়বে। ওই দুই ইউনিয়নের ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এছাড়া ঘাট রক্ষায় সামনের বছর আমরা একটা প্রকল্প হাতে নেবো।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।