ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলগালার পরও চলছে অবৈধ করাতকল!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৯
সিলগালার পরও চলছে অবৈধ করাতকল! সিলগালা করা অবৈধ করাতকল। ছবি: বাংলানিউজ

নেত্রকোণা: নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে গড়ে তোলা অবৈধ করাতকল সিলগালা করে দেওয়ার পরও তা চালু রেখেছেন মালিকপক্ষ।

করাতকলটি গড়ে তোলার সময় থেকে চলমান সময় পর্যন্ত এর মালিক মো. মাসুম একের পর এক আইন লঙ্ঘন আর অপরাধ করেই যাচ্ছেন।

উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের আমবাড়ি বাজারে অবস্থিত অবৈধ এ করাতকলটি আড়াই মাস আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত সিলগালা করে দিয়েছিলেন।

কিন্তু সপ্তাহ না পেরুতেই মাসুম তার ক্ষমতা দেখিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে উপেক্ষা করে ফের চালু করেছেন অবৈধ করাতকল। দিনরাত ইচ্ছেমত চেরাই করছেন বৈধ-অবৈধ কাঠ।

কলমাকান্দা উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা বাংলানিউজকে জানান, আড়াই মাস আগে আমবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তিনি। সেখানে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা মাসুম নামে এক ব্যক্তির লাইসেন্সবিহীন অবৈধ করাতকল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু বদলিজনিত কারণে তিনি অন্যত্র চলে আসায় মাসুম ভ্রাম্যমাণ আদালত অবমাননা করে আবারও অবৈধ করাতকল চালু করেছেন।

তবে যত বড় ক্ষমতাধর হোক কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সুতরাং ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় অবমাননাকারী মাসুমের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

কলমাকান্দা উপজেলার বন কর্মকর্তা রথিন্দ্র কিশোর রায় বাংলানিউজকে জানান, সিলগালা করে দেওয়ার পরও করাতকলটি চালু করার অভিযোগ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পেয়েছি। ঊর্ধ্বতনদের বিষয়টি জানিয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে অবৈধ করাতকল মালিক অভিযুক্ত মাসুমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেনের কাছে অনুমতি নিয়েই তিনি করাতকল চালু করেছেন।

এ ব্যাপারে ইউএনও জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মাসুমকে তার লাইসেন্সবিহীন অবৈধ করাতকল চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। করাতকলটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর চালাতে হলে বৈধ পন্থা অবলম্বন তথা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে।  

মাসুম ও তার করাতকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।