ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে দেশের ব্যস্ততম নৌরুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাটেও।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি নামছিল। একটানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। সাপ্তাহিক হাটের মধ্যে উৎরাইল হাটের ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহের মঙ্গলবার এই হাটকে কেন্দ্র করে দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এই হাটে আসেন। যে সময়টাতে হাট পুরোপুরি জমে উঠে ঠিক তখন থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র বৃষ্টি। ফলে অস্থায়ী অনেক দোকান গুটিয়ে ফেলতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে হাট।
এদিকে একটানা বৃষ্টিপাতে চরম বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
ভ্যানচালক আফসার উদ্দিন বাংলানিউজ বলেন, বৃষ্টির কারণে চুপচাপ বসে আছি। বৃষ্টি থামছে না। যাত্রী নেই। আয়-রোজগারও নেই আজ।
উৎরাইল হাটে কুলির কাজ করেন রহিম মিয়া। তিনি বলেন, হাটের সময়ই বৃষ্টি শুরু হইছে। আজ কোনো কাজ করতে পারিনি। বৃষ্টিতে হাটে কোনো ক্রেতা নেই।
শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের একটি সূত্র জানায়, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে যাত্রীদের বেশিরভাগই টার্মিনালে আশ্রয় নিয়েছে। টার্মিনাল থেকে লঞ্চঘাটে অনেকে ভিজেও আসছেন।
এদিকে বৃষ্টির সঙ্গে হালকা বাতাস থাকায় পদ্মা কিছুটা উত্তাল রয়েছে। শিবচর বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই। দোকানে ক্রেতাও নেই। ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৯
এএটি