আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই শোধনাগার থেকে ঢাকায় পানি সরবরাহ করা হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নে স্থাপিত পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও জানান, এ প্রকল্পের কল্যাণে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের পাশের নদীগুলো গত ৬০ বছরে দূষিত হওয়ায় রাজধানী থেকে এত দূরে এ প্রকল্প স্থাপন করতে হয়েছে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি পানি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে যে অনিয়মের কথা উঠেছে দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক জেং জাওজিয়াং, কান্ট্রি ডিরেক্টর ওয়াং সাউজাল, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ার প্রধান ফং ওয়ে, স্থানীয় সরকার সচিব হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা প্রশাসক মুন্সিগঞ্জ মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান, প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও এ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ৩ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯২ একর জায়গার ওপর যশলদিয়ায় পদ্মা পানি শোধনাগার প্রকল্পটি প্রথম পর্বের কাজ বাস্তবায়ন হলে রাজধানী ঢাকায় ৩৫ লাখ মানুষের মধ্যে প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পটি বায়বায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পস্থল থেকে মাটির নিচ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে রাজধানীতে পানি সরবরাহ করা হবে। এই প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চায়না সিএমসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
আরএ