সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কারওয়ান বাজারে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার। এসময় প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে একই এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। একই দিন তেজগাঁও রেলক্রসিং সংলগ্ন জায়গায়ও উচ্ছেদ অভিযান চলে। তবে কিছুদিন না যেতেই আবারও দখল হতে শুরু করে এসব জায়গা। ফলে আবারও এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
তবে চলমান অভিযানে পুরোনো দখলের পাশাপাশি নতুন কিছু অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে কারওয়ান বাজারের চালের আড়তের প্রায় ৫২টি দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, ২০০২-০৩ সালের দিকে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ এসব দোকান অস্থায়ী ভিত্তিতে ভাড়া দিয়েছিল ইজারাদারদের কাছে। তবে ২০০৭-০৮ এ এসে সেসব বাতিল করা হয়। তারপর থেকেই অবৈধভাবে এখানে দোকানিরা আছেন বলে দাবি ডিএনসিসি কর্তাদের।
উচ্ছেদ অভিযানের সার্বিক দিক নিয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, একটি এলাকা সম্পূর্ণরূপে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অন্য এলাকায় যাব না। এখানে আমরা কিছুদিন আগে উচ্ছেদ করে গেছি তাও দখলদারেরা আবার বসেছে। সেজন্যই আমরা আবার এসেছি। তারা যতবার বসবে আমরা ততবার উচ্ছেদ করব।
বর্তমানে এ দোকানগুলো যাদের দখলে রয়েছে তাদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, তারা সিটি করপোরেশনের লোকদের নিয়মিত টাকা দিয়েই দোকান পরিচালনা করছেন।
এমন প্রশ্নের জবাবে আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা মিথ্যা। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখানে কেউ টাকা নেয় না বা খাজনা নেওয়া হয় না। কারণ এগুলোর অস্থায়ী বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। যারা এখানে দোকান করছেন তারাও জানেন যে, তারা অবৈধভাবে দোকান করছেন।
দেখুন ভিডিও>>
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার বলেন, এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখান থেকে হলিক্রস কলেজের রোড ধরে ফার্মগেট পর্যন্ত উচ্ছেদ করা হবে। যদি আবার কেউ দখল করে তাহলে আবার তাদের উচ্ছেদ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএডি