ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জরুরি তথ্য আইন বাস্তবায়ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জরুরি তথ্য আইন বাস্তবায়ন সংবাদ সম্মেলন। ছবি: শাকিল

ঢাকা: জনগণের জীবনমান উন্নত করা এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। জনগণের তথ্য জানার আগ্রহ এবং প্রয়োজনকে মাথায় রেখে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়ন জরুরি। এজন্য জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে যারা তথ্য প্রদান করবেন তাদের সুরক্ষার জন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইনের মতো আলাদা আইন করা প্রয়োজন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘তথ্য সবার অধিকার: থাকবে না কেউ পেছনে আর’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে তথ্য কমিশন আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ।

মরতুজা আহমদ বলেন, দেশে এখনো সবার জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। সবার তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের এখনো আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। সারাদেশে তথ্য অধিকার আইনটি ব্যাপক প্রয়োগের মাধ্যমে গণজোয়ার তৈরি করে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এটি তথ্য কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে তথ্য কমিশন ইতোমধ্যেই সারাদেশে প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। জনগণের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হলে এ আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই। সমাজের সর্বস্তরে তথ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।

প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সাইফুল আলম বলেন, যখন অগণতান্ত্রিক সরকার আসে, তখনই বলা হয় এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। তারা অবাধ তথ্য প্রবাহকে ভয় পায়। সেটি তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন করেছে। আমরা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সবসময়ই চাই, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হোক। তবে যেসব তথ্য প্রকাশ করলে দেশ, জাতি ও সমাজের ক্ষতির আশংকা থাকে সেসব তথ্য প্রকাশের বিষয়ে বিবেচনা বোধ আমাদের থাকতে হবে। তথ্য জানার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। একটি শিশু যখন বোধ লাভ করে তখন থেকেই বাবা, মা কিংবা বড়দের কাছে জানতে চায় এটা কী, ওটা কী? পরে সে বড় হয়ে সমাজ বা দেশের কাছেও তথ্য জানতে চায়।   

তিনি আরও বলেন, যারা তথ্য দেন তারা যেন কোনো রকম ভয় ছাড়া তথ্য প্রদান করতে পারেন, সেজন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইনের মতো তথ্য প্রদানকারীর সুরক্ষা আইন করা যায় কিনা, বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। কেননা, অনেক সময় তথ্য প্রদানকারী নানা ধরনের চাপের মধ্যে পড়েন।
জবাবে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ জানান, সুরক্ষা আইন ও বিধিমালা রয়েছে। যারা তথ্য দেবেন, তাদের এ আইনের মধ্যমেও সুরক্ষা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম বলেন, দেশে আজকের যে উন্নয়ন, সেটি তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। যারা এখনো বঞ্চিত রয়েছে, আপনারা সেই কাজটি করবেন। যাতে উন্নয়নের যে ধারা শুরু হয়েছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে। সবাই তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।

মো. মিজান-উল-আলম বলেন, তথ্য কমিশন দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। এসব কাজের মধ্য দিয়ে জনগণকে তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরোও বক্তব্য রাখেন তথ্য কমিশনের সচিব মো. তৌফিকুল আলম, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।