ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উখিয়ার হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত, খুনিরা পরিচিত: এসপি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
উখিয়ার হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত, খুনিরা পরিচিত: এসপি ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ার কোটবাজার পূর্বরত্নাপালং গ্রামে এক প্রবাসীর মা, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান- একই পরিবারের চারজনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। একইসঙ্গে এ ঘটনায় ওই পরিবারের সঙ্গে আগে থেকে পরিচিত লোক জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।

তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড, এ ঘটনার সঙ্গে অন্যকোনো বিষয় জড়িত কি-না এসব বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশ সুপার।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ সুপার বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।

এসময় তার সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজ্জামান চৌধুরী, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার। এছাড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতের যেকোনো সময়ে ঘরের ভেতরে ধারালো দা দিয়ে জবাই করে হত্যায় করা হয় পূর্বরত্নাপালং গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রুখেন বড়ুয়ার মা সখি বড়ুয়া (৬০), রুখেনের স্ত্রী মিলা বড়ুয়া (২৪), তার ছেলে রবিন বড়ুয়া (০৫) ও তার বড়ভাই নিপু বড়ুয়ার মেয়ে সনি বড়ুয়াকে (০৬)।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ততা বা সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় আছে কি-না জানতে চাইলে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে এ ধরনের কোনো বিষয় আছে বলে মনে হচ্ছে না। এছাড়া ঘটনাস্থল রোহিঙ্গা শিবির থেকে অনেক দূরে। ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয়ও জড়িত বলে মনে হচ্ছে না। তবে এটা বলা যায়, ঘটনাটি অবশ্যই পূর্বপরিকল্পিত। একইসঙ্গে ওই পরিবারের জানাশোনা লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।  

তিনি বলেন, ঘটনার আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে। আশা করছি খুব দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, বাড়িটি ছাদ দেওয়া পাকা বিল্ডিংয়ের। বাইরে থেকে লোহার গ্রিলে তালা লাগানো। দরজাও বন্ধ অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় ঘরের ভেতরের একটি কক্ষে শাশুড়ি, অন্য কক্ষে বউ এবং আরেকটি কক্ষে দুই শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ছাদের ওপরের সিঁড়ি বেয়ে দুর্বৃত্তরা ভেতরে প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। হয়তো এমনও হতে পারে খুনিদের চিনে ফেলায় তাদের হত্যা করা হয়েছে।

বাংলাদেশম সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এসবি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।