ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেয়নি সরকার: টিআইবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেয়নি সরকার: টিআইবি সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা, ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব থাকলেও সরকার জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে এডিস মশা তথা ডেঙ্গু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বক্তারা এ কথা বলেন।

চলতি বছরের ২০ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালানো গবেষণার ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে টিআইবি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা না রেখে দুই সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম শুধু রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রিক ও অ্যাডাল্টিসাইড পদ্ধতি নির্ভর। যা এডিস মশার ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। কার্যক্রম কীটনাশক কেনা নির্ভর এবং ফলে দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করে। অন্যদিকে, উপযুক্ত ও কার্যকর অ্যাডাল্টিসাইডও নির্ধারণ করা হয়নি। অনিয়ম দুর্নীতির উদ্দেশে কীটনাশক কেনায় যথাযথভাবে সরকারি ক্রয় আইন অনুসরণও করা হয় না। ফলে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে। নির্ধারিত বাজেটের পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না এবং মানহীন কীটনাশক সরবরাহ করা হচ্ছে।
 
বক্তারা বলেন, ডেঙ্গুর প্রকৃত চিত্র চিহ্নিত, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে লোক দেখানো অকার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ এবং সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা ছিল। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সারাদেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে, যা লক্ষাধিক মানুষের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া এবং দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এডিস মশা নিয়ে গবেষণার মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ ও পলিসি বিভাগের দুই ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. জুলকারনাইন এবং মো. মোস্তফা কামাল।

এসময় তারা সরকারের প্রতি একটি সুপারিশমালা তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সঠিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হবে। যেখানে অংশীজনসহ সব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সুস্পষ্ট করে জবাবদিহীতার ব্যবস্থাও রাখতে হবে। দায়িত্ব পালন না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিতে আইন সংস্কার করতে হবে। এডিস মশা জরিপ, ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ ও ডেঙ্গুর আগাম সতকর্তা দিতে হবে। জনবল আরও বাড়াতে হবে এবং তাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। মশকনিধন কীটনাশক ও উপকরণ কেনার জন্য জাতীয় ক্রয়-বিক্রয় আইন ও নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। প্রতিনিয়ত কীটনাশকের মান পরীক্ষা-নিরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে দক্ষ কীটতত্ববিদদের শূন্যপদে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।