ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সব দেশকে প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান শেখ হাসিনার

মহিউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
সব দেশকে প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান শেখ হাসিনার

জাতিসংঘ সদর দপ্তর (নিউইর্য়ক, যুক্তরাষ্ট্র) থেকে: কার্বন নিসঃরণ কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অর্থায়ন বিষয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সব দেশের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান থেকে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কার্বন নিসঃরণ কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অর্থায়নে সব দেশকে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানাই।


 
কার্বন নিসঃরণকারী দেশ না হয়েও এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলা ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
 
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের অংশীদারিত্বের অঙ্গীকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উদ্ভাবন ও বিভিন্ন অভিযোজনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করবে।
 
সভা আয়োজনের জন্য ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সময়ের সবচেয়ে গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি... জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের সভ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
 
তিনি আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য একটি অস্তিত্বের হুমকি।
 
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তঃসরকারি প্যানেল (আইপিসিসি) এর পঞ্চম মূল্যায়ন প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে- বিশ্ব যদি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস বা বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ না নেয় তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বর্তমান শতাব্দীতে আরও তীব্রতর হতে থাকবে।
 
তিনি বলেন, অ্যামাজন অরণ্যে সাম্প্রতিক অগ্নি এবং বাহামাসে ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ান বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে সত্যি ও বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ২০১৮-১৯ সালজুড়ে মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীবিকা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
শেখ হাসিনা বলেন, আমি দু’টি ফ্রন্টে লড়াই করছি। প্রথমত: কার্বন নিসঃরণ কমানো এবং ভবিষ্যতে শূন্যে পৌঁছাতে ব্যবস্থা; দ্বিতীয়ত: যেসব অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সেখানে অভিযোজন ব্যবস্থা নেওয়া।
 
তিনি বলেন, এই দু’টি ফ্রন্টেই আমরা যদি ব্যবস্থা না নিতে পারি তবে লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা অব্যাহতভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে থাকবে।
 
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে বড় বদ্বীপ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পর্কিত হুমকি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চরম জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের কারণে টেকসেই প্রবৃদ্ধি অর্জন আমাদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
চ্যালেঞ্জ ও সুবিধা নিয়ে নেদারল্যান্ডস’র সহযোগিতা বাংলাদেশের ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রণয়ণের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, জিসিএ বাংলাদেশের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অর্থ সংস্থান ডেল্টা প্ল্যানের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
 
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এমইউএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।