ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইউনিফর্ম না পরায় কলেজছাত্রকে মারধর!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
ইউনিফর্ম না পরায় কলেজছাত্রকে মারধর! আহত শিক্ষার্থী। ছবি: বাংলানিউজ

নরসিংদী: নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় ইউনিফর্ম না পরে কলেজে আসায় ওমর ফারুক (১৮) নামে দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অিভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এতে ওই শিক্ষার্থীর বাম চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আহত ওমর ফারুক উপজেলার বাজনাব গ্রামের সৈয়দ বেনু মিয়ার ছেলে। তাকে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলাব হোসেন আলী কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত ওমর ফারুক বলেন, সোমবার ইউনিফর্মের প্যান্ট না পরে কলেজে যাওয়ায় কলেজ মাঠ থেকে অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তী আমাকে ডেকে নেন। এসময় অধ্যক্ষের কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনেই তিনি আমাকে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। এতে আমি বাম চোখে আঘাত পাই। পরে সহপাঠীরা আমাকে নিয়ে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বেলাব হোসেন আলী কলেজের ছাত্র রিপন বলেন, অধ্যক্ষ স্যার কোনো অপরাধের জন্য আমাদের শাসন করতেই পারেন। কিন্তু উনি কলেজের শত শত ছাত্র-ছাত্রীর সামনে ফারুককে যেভাবে মারধর করে বাম চোখ ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন আমরা এর বিচার চাই।   

অধ্যক্ষ কর্তৃক শিক্ষার্থীর ওপর মারধরের প্রতিবাদে ও অধ্যক্ষকে প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা মানববন্ধন করেছি। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

আহত শিক্ষার্থীর বাবা সৈয়দ বেনু মিয়া বলেন, আমি গরীব মানুষ। রিকশা চালিয়ে ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছি। অপরাধ করলে স্যার শাসন করবেন কিন্তু এভাবে সবার সামনে কিল-ঘুষি মারতে পারেন না উনি। স্যারের ঘুষিতে আমার ছেলের একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. পান্না আক্তার বলেন, শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বাম চোখে একটু আঘাত পেয়েছে। তবে আঘাতটি তেমন গুরুতর নয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা শরমিন বলেন, হোসেন আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলেছি। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তীকে কলেজে না পেয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে উনি ফোন রিসিভ করেননি এবং এক সময় মোবাইলটি বন্ধ করে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।