মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্য হলেন- বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাগরা কলোনির জয়নাল আবেদিনের ছেলে আবু সাঈদ ওরফে সবুজ (৩০)।
চার বছর দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ব্রাক্ষ্মণবাড়ি গ্রামের ছামেন আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া ওরফে ওমর ফারুক (৩১) এবং গোপালপুর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে মোসলেম উদ্দিন ওরফে সোহেল (২৮)। তাদের দু’জনকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর আসামি কালিহাতী উপজেলার বল্লভবাড়ি গ্রামের আতাউর রহমান খানকে (৫২) দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের সরকারি পিপি এস আকবর খান বাংলানিউজকে জানান, ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল জেএমবির সদস্য জুয়েল মিয়াকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই উপজেলার বল্লভবাড়ি গ্রামে একটি ভাড়া বাসা থেকে আবু সাঈদ ও মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, জিহাদি বই, জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই বাড়ির মালিক আতাউর রহমান খানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে এসআই আসাদুজ্জামান টিটু ২০১৭ সালের ১৭ মে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এসএইচ