ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

লুডু খেলায় বিরক্ত করায় ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
লুডু খেলায় বিরক্ত করায় ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতির থান হাফিজিয়া মাদ্রাসায় লুডু খেলার সময় বিরক্ত করায় মোজাম্মেল হোসেন (৭) নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন শিক্ষক।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাত্র বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে।

তার দু’টি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
 
মোজাম্মেলের মা রেহানা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসায় বসে লুডু খেলছিলেন শিক্ষক হাফেজ নাঈম আহমেদ। এ সময় মোজাম্মেল গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চায়। তখন বিরক্ত হয়ে মোজাম্মেলকে বেধড়ক বেত্রাঘাত শুরু করেন শিক্ষক। মারপিটে ছেলেটির দুই চোখ তেঁতলে গেছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থান বেতের আঘাতে রক্তাক্ত হয়।
 
পরদিন শনিবার মোজাম্মেলের মাকে মাদ্রাসা থেকে জানানো হয়, তার ছেলে দুর্ঘটনায় ব্যাথা পেয়েছে। ছুটে এসে ছেলেকে মারাত্মকভাবে আহত দেখে নিয়ে যাতে চান তিনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রথমে নিয়ে যেতে না দিলেও পরবর্তীতে তোপের মুখে পড়ে মায়ের সঙ্গে দিয়ে দেন মোজাম্মেলকে। ওইদিনই তাকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন।
 
রোববার তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে সেখান থেকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় তাকে ভর্তি করান।
 
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতিন্দ্র চন্দ্র দেব বাংলানিউজকে জানান, মোজাম্মেলের দুই চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। এছাড়া তার পুরো শরীর জুড়েই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা দিতে কর্তব্যরত ডাক্তারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মিটুল রায় জানান, ছেলেটির বামচোখের অবস্থা ভালো না। অন্যচোখও আঘাতপ্রাপ্ত। তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে।  
 
এ ব্যাপারে কথা বলতে নির্যাতনকারী শিক্ষক নাঈম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার চাচাতো ভাই কাউছার আহমেদ জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে।
 
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।