ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিল্পী সম্মানী বাড়ানো প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
শিল্পী সম্মানী বাড়ানো প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: শিল্পীদের অনেকেই তাদের অভাব-অভিযোগ কাউকে জানতে দেয় না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা নিজের বেদনা, নিজের যাতনা গোপন করে অন্যকে আনন্দ দেয়। সমাজকে তারা সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একটি দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত যে, শিল্পী সম্মানী বাড়াতে হবে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী সংস্থা’র সঙ্গে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শিল্পীদের অনন্য ভূমিকা ছিল।

এমনকি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গণতন্ত্রকে যখন বন্দি করা হলো, গণতন্ত্রের পায়ে যখন শিকল পরিয়ে দেওয়া হলো, গণতন্ত্র যখন মার্শাল ডেমোক্রেসিতে রূপান্তরিত হলো, তখনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে আমাদের শিল্পীরা অনন্য ভূমিকা পালন করেছে।  

‘নতুন রূপে বিটিভি’

হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন যে ১৯৬৪ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এরপর বহু বছর কেটে গেছে। কিন্তু ভারতে বিটিভি দেখা যেতো না। সীমান্তবর্তী এলাকায় যেটুকু দেখা যেতো, সেটি কোনো কনভেনশনাল চ্যানেলে নয়, এমনিতেই দেখা যেতো।  

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণে ইতোমধ্যে ভারতের ডিটিএইচ ফ্রি ডিশের মাধ্যমে পুরো ভারতেবর্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন বিনামূল্যে দেখানো শুরু হয়ে গেছে। আমি ক’দিন আগেই ত্রিপুরা গিয়েছি। ত্রিপুরাতে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বাংলাদেশের অনেকগুলো চ্যানেল দেখা যায়। আমি নিজে দেখেছি। ’

মন্ত্রী বলেন, অনেক বছর বিটিভিতে অডিশন বন্ধ ছিল। আমরা সেগুলো চালু করেছি। বিতর্কের কোনো তুলনা নেই। কেন বিতর্ক বন্ধ ছিল তা আমার জানা নেই। আমরা ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা চালু করেছি। বাংলা ও ইংরেজি দু’টোতেই। বিটিভিতে একটি ভালো অনুষ্ঠান হতো, ‘নতুন কুঁড়ি’। আজকে অনেকে প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং রাজনৈতিক এমন অনেকেই আছেন যাদের আবির্ভাব নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে। এটিও বন্ধ। আমরা সেটিও পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম।

শিল্পী সংস্থার সভাপতি ড. ইনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আজম বাশারের নেতৃত্বে এস এম মহসিন, মো. খালেকুজ্জামান, বুলবুল মহলানবিশ, ইফফাত আরা নার্গিস, আজিজুর রহমান, কবি রবীন্দ্র গোপ, সিবু রায়, সহিদুল আলম সাচ্চু, মুনমুন আহমেদ, হাসান মতিউর রহমান, সমীর বাউল, নিলুফার বেগম নীলা, জিনিয়া জোৎস্না, নিলুফার বানু নিলা, সফি আহমদ সেলিম, রাজিয়া সুলতানা মুন্নি, সীমা চৌধুরী, শিরীন শিলা, বর্ণালী সরকার, অধ্যক্ষ শিউলি মালা, পারভিন শিলা, আজমা সুরাইয়া, সাহানা চৌধুরী নূরুন নাহার, যাদুকর এস এ রানা প্রমুখ সভায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।