রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী সংস্থা’র সঙ্গে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শিল্পীদের অনন্য ভূমিকা ছিল।
‘নতুন রূপে বিটিভি’
হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন যে ১৯৬৪ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এরপর বহু বছর কেটে গেছে। কিন্তু ভারতে বিটিভি দেখা যেতো না। সীমান্তবর্তী এলাকায় যেটুকু দেখা যেতো, সেটি কোনো কনভেনশনাল চ্যানেলে নয়, এমনিতেই দেখা যেতো।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণে ইতোমধ্যে ভারতের ডিটিএইচ ফ্রি ডিশের মাধ্যমে পুরো ভারতেবর্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন বিনামূল্যে দেখানো শুরু হয়ে গেছে। আমি ক’দিন আগেই ত্রিপুরা গিয়েছি। ত্রিপুরাতে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বাংলাদেশের অনেকগুলো চ্যানেল দেখা যায়। আমি নিজে দেখেছি। ’
মন্ত্রী বলেন, অনেক বছর বিটিভিতে অডিশন বন্ধ ছিল। আমরা সেগুলো চালু করেছি। বিতর্কের কোনো তুলনা নেই। কেন বিতর্ক বন্ধ ছিল তা আমার জানা নেই। আমরা ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা চালু করেছি। বাংলা ও ইংরেজি দু’টোতেই। বিটিভিতে একটি ভালো অনুষ্ঠান হতো, ‘নতুন কুঁড়ি’। আজকে অনেকে প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং রাজনৈতিক এমন অনেকেই আছেন যাদের আবির্ভাব নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে। এটিও বন্ধ। আমরা সেটিও পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম।
শিল্পী সংস্থার সভাপতি ড. ইনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আজম বাশারের নেতৃত্বে এস এম মহসিন, মো. খালেকুজ্জামান, বুলবুল মহলানবিশ, ইফফাত আরা নার্গিস, আজিজুর রহমান, কবি রবীন্দ্র গোপ, সিবু রায়, সহিদুল আলম সাচ্চু, মুনমুন আহমেদ, হাসান মতিউর রহমান, সমীর বাউল, নিলুফার বেগম নীলা, জিনিয়া জোৎস্না, নিলুফার বানু নিলা, সফি আহমদ সেলিম, রাজিয়া সুলতানা মুন্নি, সীমা চৌধুরী, শিরীন শিলা, বর্ণালী সরকার, অধ্যক্ষ শিউলি মালা, পারভিন শিলা, আজমা সুরাইয়া, সাহানা চৌধুরী নূরুন নাহার, যাদুকর এস এ রানা প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএ