রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সমন্বিত জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশ।
আটকরা হলেন- জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের অডিটর আনোয়ার পাশা ও জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ক্যাশিয়ার ফেরদৌস হোসেন।
আহসানুল কবির পলাশ বাংলানিউজকে জানান, কিছুদিন আগে দিনাজপুর সদর উপজেলার সদরপুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন দুদক কার্যালয়ে আটক ওই দু’জনের নামে ঘুষ নেওয়া ও ঘুষ দাবির একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগে বিকেলে জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডে অভিযান চালিয়ে টাকা নেওয়া সময় হাতেনাতে ক্যাশিয়ার ফেরদৌস ও জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের অডিটর আনোয়ারকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ঘুষের নগদ ৩০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
অভিযোগকারী ফরহাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাবা খলিলুর দিনাজপুর জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গো-পালক পদে কর্মরত থেকে ২০১২ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন এবং ২০১৬ সালে মারা যান। মৃত্যুর পর চাহিদামত ঘুষ না দেওয়ায় আমার বাবার পেনশনের টাকা থেকে ইচ্ছা করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা কম দেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ক্যাশিয়ার ফেরদৌস ও জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের অডিটর আনোয়ার। এরপর থেকে আমি গত এক বছর অডিটর আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বাবার বকেয়া পেনশনের টাকা তুলতে পারেনি। পরবর্তীতে আমার কাছে বকেয়া টাকা তুলতে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ফেরদৌস এবং আনোয়ার। গত ১ সেপ্টেম্বর তাদের দু’জনকে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে দেওয়া হয়। তারা ঘুষের অবশিষ্ট ৩০ হাজার টাকার জন্য কয়েকদিন ধরে তাগাদা দিচ্ছিলেন। রোববার বিকেলে তাদের ঘুষের অবশিষ্ট ৩০ হাজার টাকা দেওয়া দেওয়ার সময় হাতে-নাতে তাদের আটক করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এসআরএস