ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জঙ্গিবাদ-মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে নাগরিকদের তথ্য নিবন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
জঙ্গিবাদ-মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে নাগরিকদের তথ্য নিবন্ধন নিবন্ধন সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ছবি: বাংলানিউজ

ব‌রিশাল: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় নাগরিকদের তথ্য নিবন্ধন সংগ্রহ অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হলো। 

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ অভিযান-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি সব জনগণকে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, আমরা সব নগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করতে চাই। কারণ এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করা যেমন সম্ভব হবে, তেমনি আপনি-আমি সবাই ভালো ও নিরাপদে থাকবো।

সভায় বক্তব্য রাখেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার আবু সালেহ মো. রায়হান, মোক্তার হোসেন, খাইরুল আলম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আয়েশা তৌহিদা লুনা প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সভা শেষে পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বাড়িগুলোতে গিয়ে নাগরিক তথ্য ফরম বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। উদ্বোধনের পর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। যা নগরের প্রধান সড়ক হলে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

নাগরিক তথ্য নিবন্ধন করি, জঙ্গি-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুক্ত সমাজ গড়ি এই স্লোগানে আজ থেকে শুরু হওয়া নাগরিক তথ্য সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম। চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অভিযানে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আশা করা হচ্ছে দেড় থেকে ২ লাখের মতো ফরম বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় পূরণ করা সম্ভব হবে।

এদিকে পুলিশের দেওয়া তথ্য সংগ্রহ ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নাগরিক তথ্য ফরমে ১৭ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাড়িওয়াল কিংবা ভাড়াটিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য, পরিবারের সদস্যদের তথ্য এবং গৃহকর্মী ও ড্রাইভারের তথ্য উল্লেখযোগ্য।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, সে‌প্টেম্বর ২১, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।