ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

খেলাঘর আসরের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
খেলাঘর আসরের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন খেলাঘর আসরের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন।

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত শিশু কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে দু’দিন ব্যাপী এ সম্মেলন উপলক্ষে বসেছে সারাদেশের খেলাঘর পরিবারের মিলন মেলা। দেশের অর্ধশতাধিক জেলা, মহানগর ও অঞ্চলের শাখা আসরগুলোর ছয় শতাধিক প্রতিনিধি এবং সহস্রাধিক ভাই বোন এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

এ আসরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বন্ধুপ্রতিম সংগঠন ‘সব পেয়েছির আসর’ ও ‘কিশোর বাগিনী’র পাঁচজন প্রতিনিধিও যোগ দিয়েছেন।

খেলাঘর আসর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধকারী মনিকাকে ‘বিজয়িনী যোদ্ধা তুমি’ উপাধিতে ভূষিত করে তাকে খেলাঘরের আজীবন সদস্য করা হয়েছে। তাকে দেওয়া হয় উত্তরীয়, মানপত্র ও আর্থিক সম্মাননা। খেলা ঘরের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার স্মরণে ‘শহীদুল্লাহ কায়সার পদক’ পান সম্মেলনের উদ্বোধক জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জমান, শিল্পী অধ্যাপক সমরজিৎ, রায় চৌধুরী ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, অধ্যাপক প্রনয় সাহা, আবদুল মতিন ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাবুল ইসলাম বাবু।  

সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতার পরে খেলাঘরের মতো শিশু সংগঠনে শিশুদের অংশগ্রহণ কমে যাচ্ছে। সবাই লেখাপড়া ও বেশি নম্বর অর্জনের দিক জোর দিচ্ছে। দেশপ্রেম গড়ে তোলা এবং শিশু কিশোরদের শারীরিক-মানসিক বিকাশের লক্ষে কিছু নম্বর কম পেলেও অভিভাবকদের প্রতি শিশুদের শিশু সংগঠনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনের সময় খেলাঘরের ভাই বোনরা জাতীয় সংগীত, সংগঠনের সংগীত এবং নাচ পরিবেশন করে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় তারা।

প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের মূলনীতির ভিত্তিতে শিশুদের গড়ে তোলাই হচ্ছে আমাদের মূল কাজ। শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে খেলাঘর যা করতে পারে বা করছে, অন্যান্য সংগঠনের পক্ষে তা করা অসম্ভব। স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই খেলাঘরের ভূমিকার জন্য দেশ গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। যারা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে খেলাঘরের অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে।

দুপুরে সারাদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে সাংগঠনিক অধিবেশন ও রাতে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় সম্মেলনের প্রথম দিনের আয়োজন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী আয়োজনে অতিবাহিত হবে খেলাঘর জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিন। দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিশেষ অতিথি থাকবেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, ঢাবির প্রো-উপাচার্য অধ্যপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী। সকাল থেকে সাংগঠনিক ও নির্বাচনী অধিবেশন এবং রাতে থাকবে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
টিআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।