ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চান প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চান প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ ফেরত পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের কাছে সহযোগিতার চেয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা। 

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশ নারী ও শিশু। কমনওয়েলথ নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোসহ তাদের জীবনমান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

এক মিলিয়নের বেশি (প্রায় ১১ লাখ) মানুষকে বিপর্যয়ের মুখে রেখে কমনওয়েলথভুক্ত দেশে এসডিজির ৫ নম্বর লক্ষ্যের প্রকৃত অর্জন সম্ভব হবে না।  

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ১২তম কমনওয়েলথ মহিলা বিষয়ক মন্ত্রীদের সম্মেলনের একটি সেশনে বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তার পক্ষে কেনিয়ার পাবলিক সার্ভিস, যুব ও জেন্ডার বিষয়ক মন্ত্রী প্রফেসর মার্গারেট কবিয়া এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ১২তম এ সম্মেলনের আয়োজক দেশ কেনিয়া।  

ফজিলাতুন নেছা বলেন, সংবিধানের আলোকে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০১৬-২০২০ জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ২০৩০-২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশে ২০০৬ সালে ১৮ বছরের নিচে মেয়ে শিশুর বাল্যবিয়ের হার ছিল ৭৪ শতাংশ, তা ২০১৭ সালে কমে ৪৭ শতাংশ হয়েছে। ১৫ বছরের নিচে মেয়ে শিশুর বাল্যবিয়ের হার ৩২ শতাংশ থেকে কমে ২০১৭ সালে ১০ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০৪১ সালে বাল্যবিয়ের হার শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট প্রণয়ন করছে। বর্তমানে ৪৩টি মন্ত্রণালয় এ বাজেট করছে, যা মোট বাজেটের ৩১ শতাংশ। সরকার সারাদেশে প্রায় ৭ হাজারটি কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করছে। নারী শিক্ষার বিস্তার ও নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে বাংলাদেশ বিশ্বের বিকাশমান দেশগুলোর একটি।

আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশে নারী উন্নয়নের অগ্রগতি তুলে ধরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যুগোপযোগী বিভিন্ন নীতি, কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশে জেন্ডার বৈষম্য যেমন কমেছে, তেমনি কর্মসংস্থান বাড়ার ফলে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের বৈশ্বিক সূচক ও মাপকাঠিতে বাংলাদেশ অভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ প্রতিবেদনের হিসেব অনুযায়ী ২০০৬ সালে ১১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯১তম। ২০১৮ সালে ১৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৮তম এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম।

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী কমনওয়েলথ মহিলা বিষয়ক মন্ত্রীদের সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad