ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফের হাতি, আতঙ্কে ৬ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
ফের হাতি, আতঙ্কে ৬ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ছবি:বাংলানিউজ

জামালপুর: জামালপুর সীমান্তে আবারও হাতির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রায় অর্ধশতাধিক হাতির সম্মিলিত একটি দল জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের সোমনাথপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ১ কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে।

গত রোববার থেকে হাতির দল সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করলেও খাদ্যের সন্ধানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ফলে এই হাতির কারণে বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কামালপুর ইউনিয়নের সোমনাথপাড়া, গাঢ়োপাড়া, টিলাপাড়া, যদুরচর, সাতানীপাড়া, মীর্ধাপাড়ার ৬ গ্রামের প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ নির্ঘুম রাতযাপন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতীয় বন্য হাতির দল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।

এদিকে হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে স্থাণীয়ভাবে জেনারেটর এর মাধ্যমে আলোক সজ্জা করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দীর্ঘদিন পর হঠাৎ করে হাতির দল আসায় পুর্ব প্রস্তুতিও ছিল না স্থানীয়দের মাধ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু তালেব জানান, হাতি বিশেষ করে অক্টোবর মাসের শেষের দিকে রূপা আমন কাটার সময় খাদ্যের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে, কিন্তু এবার অনেক আগেই হাতির দল বাংলাদেশে এসেছে।

এদিকে স্থানীয় কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করার জন্য জমির চারিদের বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব বিদ্যুতের তারের এক পার্শ্বে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়। ফলে ওসব বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শ পেলেই হাতির দল পালিয়ে যায়।

হাতির কবল থেকে জান-মালের রক্ষার্থে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যদেরও টহল বাড়ানো হয়েছে।

৩৫ বিজিবি ব্যাটিলিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্ণেল এসএম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, হাতির কারণে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও জান মালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিজিবি সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে।

জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, হাতি থেকে রক্ষার জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি হাতি উপদ্রুপ এলাকায় জেনারেটর ও বিদ্যুতিক বাতি সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।