আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে এমন খবরে তেরখাদা উপজেলার লস্করপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় লস্করপুর বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
মামলার আরজিতে আজিজুল শেখ বলেন, গত ২২ জুলাই বিকেলে আমার ছেলে দ্বীন ইসলাম(১২) ফেরি করে বিক্রি করা আমড়া মাখার পাওনা টাকা আনার জন্য পার্শবর্তী মো: জিয়া শেখের বাড়িতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
এসময় ছেলেটি পানিতে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে বলে আসামীদের ইন্ধনে তেরখাদা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয় বলে বাদি আজিজুল শেখ তার আরজিতে উল্লেখ করেন। ছেলের মৃত্যুর কারণে আজিজুল শেখ যখন ছিলেন মূমূর্ষ, সেই সুযোগে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে আসামিপক্ষ সেটিকে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়।
কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন যে, তার ছেলে দ্বীন ইসলাম যখন পাওনা টাকা আনতে জিয়া শেখের বাড়িতে যায় তখন তাকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য খালে ফেলে দেওয়া হয়। এমনকি মরদেহ খালে ফেলে পাথর চাপা দিয়ে রাখা হয় বলেও জানা যায়। তাছাড়া ময়না তদন্ত রিপোর্টেও দ্বীন ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এসব বিষয় মামলার আরজিতে উল্লেখ করে এটিকে হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, মো: মুছা শেখ, মো: রমজান শেখ, মো: হানিফ শেখ, হক ফকির, কাজী কামাল হোসেন, আরশাদ আলী, মো: হাম ফকির, মো: মিনারুল ফকির, হেকমত মোল্লা, সোহেল মোল্যা ও পারভেজ ফকির।
এদিকে আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার খবর পেয়ে বিকেল থেকে আসামিপক্ষ বাদীকে নানাভাবে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকে লস্করপুর বাজারের সকল দোকান পাট বন্ধ করে দেয়।
মোকামপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি শরীফুল ইসলাম বলেন, মামলার খবর মৌখিকভাবে জেনে গিয়েই আসামিদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমআরএম/এমএমএস