ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তামাক ইস্যুতে বিসিএমএ’র যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়: প্রজ্ঞা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
তামাক ইস্যুতে বিসিএমএ’র যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়: প্রজ্ঞা

ঢাকা: জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি ২০১৯ চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে সিগারেট কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ)। 

তবে বিসিএমএ’র যুক্তি, কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে তামাক বিরোধী সংগঠন প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা)।  

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞার দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞা জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থ সচিব, স্বাস্থ্যসেবা সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অনুলিপি দিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিসিএমএ। চিঠিতে খসড়া জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি ২০১৯ এ অন্তর্ভুক্ত তামাক কোম্পানিতে সরকারি অংশিদারিত্ব বাতিল, তামাক খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ইলেক্ট্রনিক সিগারেট নিষিদ্ধকরণ, প্লেইন প্যাকেজিং চালু ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকৃতি/আয়তন বাড়ানো, সিগারেটের কর ও মূল্য বাড়ানো এবং সুনির্দিষ্ট করারোপের মতো তামাক নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষিত পদ্ধতিগুলো অন্তর্ভুক্ত না করতে মনগড়া ব্যাখ্যা ও ভিত্তিহীন যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।  

অর্থ মন্ত্রণালয়কে রাজস্ব ভীতি দেখিয়ে নীতিমালা ক্ষতিগ্রস্ত করতেই বিসিএমএ এই কূটকৌশল অবলম্বন করেছে। এর আগে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা বাধাগ্রস্ত করতে সংঘবদ্ধ মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালিয়েছিল তামাক কোম্পানিগুলো।

বিসিএমএ বাংলাদেশকে সিগারেটের ওপর উচ্চ কর আরোপ করা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে অভিহিত করলেও বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে সিগারেট অত্যন্ত সস্তা। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও সবচেয়ে কমদামি সিগারেটের মূল্য বাংলাদেশের কমদামি সিগারেটের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লি্উএইচও) ২০১৬ সালের তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মিয়ানমার, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার পরেই বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দামে সস্তা ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর আরোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। চিঠিতে সিগারেটের কর বাড়ানোর সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সিগারেট প্রচলন ও রাজস্ব হারানোর যে কল্পনাপ্রসূত যুক্তি বিসিএমএ তুলে ধরেছে তা কোনোভাবেই সত্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সব তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও পদক্ষেপগুলো তামাক কোম্পানির ব্যবসায়িক ও অন্যান্য স্বার্থ থেকে সুরক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সুতরাং সরকারকে তামাক কোম্পানির বিভ্রান্তিমূলক প্রচেষ্টা এবং হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।  যা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের পথ সুগম করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
টিআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।