ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বদলে গেছে গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসের চিত্র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
বদলে গেছে গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসের চিত্র

গাইবান্ধা: আগের মত নেই, হঠাৎ বদলে গেছে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চিত্র। কোনো অভিযোগ নেই পাসপোর্ট করতে আসা মানুষগুলোর, নেই দালালের আনাগোনা, প্রতিটি কক্ষের ভেতরে-বাইরে বিরাজ করছে শান্ত-শৃঙ্খল পরিবেশ। 

অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষগুলো শান্ত ও সুশৃঙ্খলভাবে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের জন্য ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিচ্ছেন। যথেষ্ট ধৈর্য্যর সঙ্গে তাদের সাপোর্ট এবং সেবা দিচ্ছেন অফিস কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি এমনই চিত্র চোখে পড়ে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের। অথচ গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে বরাবরই নানা অভিযোগ ছিল ভুক্তভোগীদের।

পাসপোর্ট কার্যালয়ে দালালদের খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হতো সাধারণ মানুষকে। ফরম পূরণ, পুলিশ ভেরিফিকেশন, মেশিনের সমস্যাসহ নানা অজুহাতে সরকারি খরচের বাইরেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করতো দালালরা।

এসব কর্মকাণ্ডে অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালালদের যোগসাজশের অভিযোগও ছিল ভুক্তভোগীদের। যা বরাবরই অস্বীকার করতো অফিস কর্তৃপক্ষরা। কিন্তু অজানা কারণে হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসের চিত্র।

পাসপোর্ট অফিসের বাইরের দৃশ্য।  ছবি: বাংলানিউজগাইবান্ধা সদরের কূপতলা এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কর্মসংস্থানের কারণে বিদেশ যাওয়ার জন্য তিনি পাসপোর্ট করতে এসেছেন। সরকারি খরচের বাইরে কাউকে কোনো টাকা দেননি বা কোনো টাকা দাবি করা হয়নি। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মায়ের নাম ফরমে ভুল লেখায় একবার হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

জেলার ফুলছড়ি উপজেলার গলনা গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে শাকিল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) অফিসে যথারীতি ফরম জমা দেই। অফিস কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত তারিখ অনুযায়ী রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) আমার ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পন্ন হয়েছে।  

তিনি দালাল বা অফিস কর্তৃপক্ষের কারও কাছে কোথাও কোনো অনিয়ম বা হয়রানির শিকার হননি বলে জানান।

চিকিৎসার করতে ভারত যাওয়ার জন্য জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদর থেকে আসা বাবলা প্রধান বাংলানিউজের কাছে তার সন্তুষ্টির কথা জানান।  

তবে, জেলার সাঘাটা উপজেলা থেকে পাসপোর্ট করতে আসা মামুন হজ গ্রুপের মোয়াল্লেম ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পাসপোর্ট করার জন্য প্রায়ই তাকে এ অফিসে আসতে হয়। তার কাছে অনিয়ম-হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটু টাকা-পয়সা খরচ করলে কাজটা দ্রুত হয়।  

গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক  আবুল বাসার বাংলানিউজকে বলেন, পাসপোর্ট করতে এসে একজন ব্যক্তিও যেন হয়রানির শিকার না হন, তারা তাদের প্রাপ্য সেবা পান, সব সময় আমরা সে চেষ্টাই করি। সেবারমান নিশ্চিত করতেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

এরপরও দালালদের অপতৎপরতার অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে আমরা পেয়েছি কিন্তু তাদের চিহ্নিত করতে না পারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তবে অফিস দালালমুক্ত রাখতে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
আরএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।