ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পানিশূন্যতায় মানিকগঞ্জে অর্ধ শতাধিক স্কুলছাত্রী অসুস্থ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
পানিশূন্যতায় মানিকগঞ্জে অর্ধ শতাধিক স্কুলছাত্রী অসুস্থ

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার একটি স্কুলে অ্যাসেম্বলির পর অর্ধ শতাধিক স্কুলছাত্রী গরমে পানিশূন্যতার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দরগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, অ্যাসেম্বলি ক্লাসের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মাঠের ময়লা পরিষ্কার করতে বলে।

তখন প্রচণ্ড গরমে অর্ধ শতাধিক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাদের সাটুরিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে ১০ জন ছাত্রীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি ৪০ জন ছাত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়।

এদিকে, এ ঘটনার পর উত্তেজিত অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে তার রুমে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দরগ্রাম বাজারে শিক্ষকদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে সাটুরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ফটো ও সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রী বাংলানিউজকে জানায়, অ্যাসেম্বলি ক্লাস শেষে শিক্ষকরা জোর করে রোদের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করতে বলে। এক পর্যায়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।

অসুস্থ শিক্ষার্থী বাবা বিল্লাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার কন্যাসহ এতো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ল, যদি কোনো বড় ধরনের ক্ষতি হতো এর দায় ভার কে নিতো।

এ বিষয়ে দরগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সাটুরিয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মামুন উর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে পানি শূন্যতায় ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমার এখানে ৪০ জন ছাত্রী চিকিৎসা নিতে আসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছে। বাকি ১০ জন ছাত্রীকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সাটুরিয়া থানার ওসি মতিয়ার মিঞা বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি সভা করেছি। আরেকটি সভা করে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করবো। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিভাবক আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

বাংলোদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।