ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একটি শব্দের পর নদীতে দোকান, আতঙ্ক সুগন্ধার তীরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
একটি শব্দের পর নদীতে দোকান, আতঙ্ক সুগন্ধার তীরে ভাঙনের কবলে সুগন্ধা নদীর তীর। ছবি: বাংলানিউজ

ঝালকাঠি: ঝালকাঠি জেলা সদর ও নলছিটি উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে সুগন্ধা নদী। এ নদীর তীর ভাঙনের ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকাসহ বহরমপুর ও কাঠিপাড়া গ্রামের মানুষ।

সর্বশেষ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাটে সুগন্ধা নদীর আকস্মিক ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ফেরির গ্যাংওয়ে। এতে নলছিটির সঙ্গে ঝালকাঠির গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

যা মেরামত করতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক নদীর ভাঙনে ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে রাস্তা থেকে আলাদা হয়ে পড়ে যায়। পাশাপাশি মুহূর্তের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে যায় ফেরিঘাটের চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ট্রলার শ্রমিকদের একটি অফিস কক্ষ। এলাকার লোকজন এসে নদী থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কিছু মালামাল উদ্ধার করতে পারলেও বেশিরভাগ নদীতে তলিয়ে গেছে।

নদী ভাঙনের ভয়ে আতঙ্কে স্থানীয়রা।  ছবি: বাংলানিউজ

ফেরিঘাট এলাকার চা দোকানি ইউসুফ আলী হাওলাদার জানান, শুধু একটি শব্দ হয়। এরপর পলকের মধ্যে সব নদীতে বিলীন হয়ে যায়। দোকানের কোনো মালামাল রক্ষা করা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গত দুই বছর ধরে সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকাসহ বহরমপুর ও কাঠিপাড়া গ্রাম।  

এদিকে ষাইটপাকিয়া ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা জলিল শরীফ জানান, ফেরীর গ্যাংওয়ে, ট্রলারঘাটে আমাদের অফিস রুম নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। পরে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ সচল রাখতে দ্রুত পূর্বের ঘাটের পাশেই বহরমপুর গ্রামে একটি বিকল্প জায়গায় ঘাট স্থাপন করা হয়। এতে মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমেছে।

বাংলা‌দেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।