ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কারাগারকে সংশোধনাগার করতে চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
কারাগারকে সংশোধনাগার করতে চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা। ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেছেন, দেশের কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার করতে চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে ডে কেয়ার সেন্টার, প্রিজন জেন্টস পার্লার ও স্টুডিও এবং বন্দি প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসন কেন্দ্র, বন্দি ব্যারাকের উধ্বর্মুখী সম্প্রসারণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, বন্দিরা কারাগারে থাকছেন তাদের যেন এমনটা মনে না হয় এটাই আমাদের লক্ষ্য।

কারা অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্যের লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ বন্দীদের দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও সেটা চান। বন্দিরা যাতে কারাগারে কাজ শিখে মুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন সেটাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, সারাদেশে কারাগারে ১৪১ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু সেখানে মাত্র নয় জনের পদায়ন হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ে বৈঠক করেছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনার আলোকে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কারাবন্দিদের সকালের নাস্তা হিসেবে রুটি আর ১৪ গ্রাম গুড় দেওয়া হতো। যা পরিবর্তন করে খিচুড়ি, সবজি, রুটি ও হালুয়া এবং রুটিতে পরিণত করা হয়েছে। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমি বিভিন্ন কারাগার ঘুরে দেখেছি এতে বন্দিরা খুবই আনন্দিত। আগে বন্দিদের উন্নত মানের খাবারে বরাদ্দ ছিল ৩০ টাকা যা পাঁচ গুণ বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছি তাতে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। আগে কারা অভ্যন্তরে পরিচ্ছন্নকর্মীদের মাসে ২০ টাকা দেওয়া হতো আর এখন ৫০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে কোনো কারাগারেও একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। এটা একটা বিরাট সাফল্য।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (প্রিজন) টিপু সুলতান, নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার তানিয়া জামান, আরিফুর রহমান প্রমুখ।

এর আগে, কারা মহাপরিদর্শক মোস্তফা কামাল জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।  

তিনি কারা গার্মেন্টস, জামদানি তৈরির কারখানা, লেডিস পার্লারসহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মরত বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।