ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আমরা কোন রুচির পরিচয় দিচ্ছি: শামীম ওসমান 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
আমরা কোন রুচির পরিচয় দিচ্ছি: শামীম ওসমান  সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। ফাইল ফটো

নারায়ণগঞ্জ: ‘আমি আজ আসার সময় লজ্জা পেয়েছি, জালকুঁড়িতে (ট্রাফিক) জ্যামে পড়েছিলাম। দেখলাম, বেশ কিছু নারী বাচ্চাদের নিয়ে স্কুল থেকে আসছে। গাড়ির জানালা নামিয়ে দেখি, দুর্গন্ধে তারা নাকে হাত চেপে মুখটা ঢেকে রেখেছে। সেখানে বেশ কিছু মানুষ ময়লা ফেলছে, গাড়িভরে সিটি করপোরেশনও ময়লা ফেলছে। এটা আমরা কোন রুচির পরিচয় দিচ্ছি?’

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৪৮তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী-রানারআপ দলগুলোর মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, এর আগেও এমন হয়েছিল।

সেখানে এখন নাসিম ওসমান পার্ক করা হয়েছে। তখন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব এসেছিলেন। বলেছিলেন, এই ময়লা যে ফেলেছে, তার অফিসে ফেলার জন্য। পার্ক হওয়ার পর ভেবেছিলাম, এখানে আর ময়লা ফেলবে না। কিন্তু, এখন দ্বিগুণ গতিতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে যখন কেউ ঢুকবে, তখন এই শহর সম্পর্কে বিরূপ ধারণা হবে। এটা কেমন শহরে ঢুকছি যেখানে ময়লা ডাম্পিংয়ের ওপর ডাম্পিং হয়ে আছে? আমি সংসদেও এ ব্যাপারে কথা বলেছি। পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেছেন, এটা আপনাদের নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য লজ্জার। তাই, আমি এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।  

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, আমরা চাই, যেটা করতে পারিনি, তোমরা সেখানে সফলতা পাও। প্রত্যেক বাবা-মায়ের চিন্তা, সন্তান যেন জীবনে ভালো করে। মানুষ যেন তার সন্তানের পরিচয়ে বাবা-মাকে চেনে। তোমরা অনেক ভাগ্যবান। কারণ, আজ যে সুবিধা পাচ্ছো, ২৫-৩০ বছর আগে আমরা তা পাইনি।

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,যখন নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে প্রভাবশালী ছাত্রনেতা ছিলাম, আমার কথায় হাজার হাজার ছাত্র এক মিনিটের মধ্যে নেমে যেতো। আমি তখন তোলারাম কলেজের ভিপি, সেখানে নয়শ’ টাকার জন্য পরীক্ষার ফরম ফিলআপ করতে পারিনি। বাবু জীবন কানাই চক্রবর্তী স্যার নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে আমার ফরম ফিলআপ করে দেন। শিক্ষকদের চরিত্র এটাই হওয়া উচিত। এই ঘটনা ১৯৮২ সালের, আর এখন ২০১৯। আমি এখনো সেই শিক্ষককে মনে করি ও আমার পিতার আসনে বসাই।

জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন শামীম ওসমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেহেনা আকতার।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।