ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢামেক হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতকের নাম ‘সারা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
ঢামেক হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতকের নাম ‘সারা’ ঢামেক হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতক ‘সারা’, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতকের মা-বাবার এখনও খোঁজ মেলেনি। নবজাতককে কৌটার দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ‘সারা’।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিষা ব্যানার্জী বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, নবজাতকটি এখন এন আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

মোটামুটি ভালো আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া কিনে আনা কৌটার দুধ খাওয়ানো হচ্ছে শিশুটিকে।

প্রশাসনিক ব্লকের ওয়ার্ড মাস্টার আব্দুল গফুর জানান, নবজাতকের বাবা-মাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি, বা তারা ফিরে আসেনি। তাই শাহবাগ থানায় দুপুরে একটি সাধারণ ডায়েরি ( জিডি) করা হয়েছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, এ ব্যাপারে থানায় জিডি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে নথিতে নবজাতকের মা বাবার নাম ও মিরপুর এলাকায় ঠিকানা লেখা আছে। এছাড়া একটি মোবাইল নম্বর আছে সেটিও বন্ধ। সবরকম চেষ্টা প্রয়োগ করে নবজাতকের বাবা-মাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, ওই নবজাতক মোটামুটি ভালো আছে। সে সুস্থ আছে, তার প্রতি আলাদা দৃষ্টি আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যতো রকম সহযোগিতা দরকার শিশুটির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করছে। এছাড়া পুলিশকে অবগত করা হয়েছে দেখি দু-একদিনের মধ্যে নবজাতকের বাবাকে খুঁজে পাওয়া যায় কি-না।

তিনি আরও জানান, ওই নবজাতকের নাম রেখেছি আমরা। কয়েকজনের সিদ্ধান্তে আমারও মতামত ছিল এ নামটির প্রতি। এখন থেকে ওই ফেলে যাওয়া নবজাতকের নাম সারা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিজারের মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ হয় এই মেয়ে নবজাতকটি। নথিতে দেখা যায়, নবজাতকটির মায়ের নাম নাহার ও বাবার নাম রাসেল। ঠিকানায় দেখা যায়, রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর এলাকা।

** ঢামেকে ভূমিষ্ঠ নবজাতকের মা-বাবাকে খুঁজছে কর্তৃপক্ষ

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এজেডএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।