ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশালে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদে অভিযান বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
বরিশালে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদে অভিযান বন্ধের দাবি

ব‌রিশাল: বরিশাল নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদে প্রশাসনিক অভিযান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরের ফকিরবাড়ি রোডস্থ রিকশা-ভ্যান চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিকশা-ভ্যান চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক সুশান্ত শুকুন বলেন, আমরা বরিশালের ব্যাটারিচালিত রিকশার শ্রমিক।

গত ১৯ আগস্ট থেকে আমরা পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে এক অবর্ণনীয় যন্ত্রনায় দিনাতিপাত করছি।  

‘গত ১৯ আগস্ট থেকে দফায় দফায় ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদে প্রশাসনের নির্মম অভিযান চলছে। প্রায় এক মাসব্যাপী এ উচ্ছেদ অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করা হয়েছে এবং প্রতিটি রিকশার ব্যাটারি-মোটর খুলে রাখা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি দরিদ্র রিকশাচালকরা শিকার হয়েছে নানাবিধ হয়রানি ও নির্যাতনের। ’

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে আমরা বরিশালে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি আদায়ের জন্য ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। আন্দোলনের মুখে সিটি করপোরেশন ও প্রশাসন বিভিন্ন সময় আমাদের রিকশা চলাচল করতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।  

‘সর্বশেষ গত এক বছর ধরে যানজটপূর্ণ সড়ক ছাড়া বাকি রাস্তাগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে আমরা জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলাম। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট থেকে পরিচালিত মাসব্যাপী এই অভিযান আমাদেরকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। ’

সুশান্ত শুকুন আরও বলেন, শ্রম কমাতে ও প্রযুক্তির সহায়তা নিতে ৪০-৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে রিকশায় ব্যাটারি লাগানো হয়েছে। এই ব্যাটারি সরকারের অনুমতি সাপেক্ষেই আমদানি হয়েছে। ময়মনসিংহ, গাজীপুর, রংপুর ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনসহ বিবিধ জায়গায় এই ব্যাটারিচালিত রিকশাকে বৈধ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের সব পৌরসভায় এই রিকশাগুলোর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বরিশালে এর কিছুই হয়নি।

এসময় চলমান এ অভিযান অব্যাহত রেখে শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলনের দিকে ঠেলে না দেওয়ার কথা জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ। আমাদের হারাবার কিছু নেই। আমাদের চাওয়া একটাই। সেটি হলো- রুটিরুজি। সেই রুটিরুজির ওপর আঘাত চলতে থাকলে রাজপথ ছাড়া আমাদের আর কোনো আশ্রয় থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল রিকশা-ভ্যান চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন ও সংগ্রাম কামটির উপদেষ্টা ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বরিশাল রিকশা-ভ্যান চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল মল্লিক, ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম কামটির আহ্বায়ক শাজাহান মিস্ত্রীসহ রিকশা চালক-শ্রমিকরা।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এমএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।