ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সৈয়দপুরে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
সৈয়দপুরে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা সুরভী ইসলাম চৌধুরী পপি

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরী ভলুর স্ত্রী সুরভী ইসলাম চৌধুরী পপিকে (৩৫) গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছেন তার বাড়ির দুই কেয়ারটেকার।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর শহরের গোলাহাট মহল্লায় ওই নেতার বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে।  

সুরভী ইসলাম চৌধুরী পপি হিটলার চৌধুরী ভলুর দ্বিতীয় স্ত্রী।

তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন পপির গলায় ও হাতে চিকিৎসকরা ৪০টির বেশি সেলাই করেছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে।

জানা যায়, হিটলার চৌধুরী ভলুর শহরে দুইটি বাড়ি। পাওয়ার হাউস এলাকায় একটি ও গোলাহাট মহল্লায় আরেকটি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পপির ছোট মেয়ে তাসফিয়া লাবিবা চৌধুরী অদ্রি (৭) বাংলানিউজকে জানায়, তার বাবার কাজের জন্য রাখা দুই কেয়ারটেকার জীবন (২১) ও রাজা (১৭) গভীর রাতে এসে ডাকাডাকি করলে মা দরজা খুলে দেয়। সে সময় বাবা পাওয়ার হাউস এলাকায় ছিলেন। ঘরে ঢুকে কেয়ারটেকার দুইজন হঠাৎ চাকু বের করে আম্মুর গলা কাটতে থাকে। আম্মু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আম্মুর হাতও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। এ সময় আমি ও আম্মু চিৎকার করতে থাকলে জীবন ও রাজা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, জীবন গোলাহাট মহল্লার মহম্মদ মুন্না এবং রাজা একই এলাকার মৃত সাগির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার পর তাদের এলাকায় আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার সবাই জীবন ও রাজাকে ভলু চৌধুরীর বিশ্বস্ত বলে জানায়। তারা বাড়ির ছেলের মতোই থাকতো। কিন্তু তারা যে এতো ভয়ঙ্কর হতে পারে মহল্লাবাসী তা ভাবতেই পারেনি।

এ ব্যাপারে আওয়ামী নেতা হিটলার চৌধুরী ভলু বলেন, ঘটনার সময় আমি পাওয়ার হাউস এলাকায় ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়ি ছুটে এসে স্ত্রীকে প্রথমে সৈয়দপুর হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।  

তিনি আরও বলেন, যে ছেলে দু’টো এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আমার সঙ্গেই থাকে। কেন বা কি কারণে তারা এমনটা ঘটালো বুঝতে পারছিনা। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করবো।

সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসনাত ফিরোজ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জীবনের বাবা মুন্নাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad