ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গত এক দশকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
গত এক দশকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে:  গত এক দশকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বে একটা স্থান অর্জন করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সংসদের অধিবেশন সমাপ্ত ঘোষণা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। স্বল্প সময়ে বিশ্বে একটা স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন এশিয়ার ১৩তম অর্থনৈতিক উন্নতির দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় অর্থনৈতিক উন্নতির দেশ। বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। আমরা আরও অর্জন করতে পারবো।

তিনি বলেন, এই সময়ে আমাদের চলার পথ কী খুব মসৃণ ছিলো? ছিলো না। আগুন দিয়ে জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে। বিআরটিসি আর্টিকুলেট বাসগুলো পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দল অত্যাচার নির্যাতনের কথা বলে। আমরা কম নির্যাতনের শিকার হইনি। আওয়ামী লীগ ছাড়া বর্তমান সংসদে যারা বিরোধী দল তারাও বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার নির্যাতনের শিকার। সেই তুলনায় আমরা কিছুই করছি না।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলো তাদের ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। এই সব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবো।  

‘বাংলাদেশের যখন উন্নতি হয়, অগ্রগতি হয়, দেশ যখন এগিয়ে যায় তখন দেশের কিছু মানুষ আছে তাদের পছন্দ হয় না। যারা সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল তারা ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে, করেই যাবে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে নিয়ে যাবো। ’

সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। প্রত্যেক সংসদ সদস্যদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, প্রত্যেক এলাকায় সরকারের যে উন্নয়ন কাজগুলো চলছে, সেদিকে নজর রাখবেন।  

‘প্রত্যেকটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে সুন্দর ও সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়, সেদিকে নজর রাখবেন। এতে দেশের উন্নয়নটা আরও ত্বরান্বিত হবে। মনে রাখবেন নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের মঙ্গল করাই হচ্ছে প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিদের অন্যতম দায়িত্ব। আশা করি, তারা সেই কাজটি করবেন। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের পথে আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, এই উন্নয়নের ধারাটা যদি অব্যাহত রাখতে পারি, আমাদের যে লক্ষ্য উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে অবস্থান করতে পেরেছি, সেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্রের চর্চাটা আমরা অবাধ করে দিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সমালোচনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আমাদের খরচ হচ্ছে ২৬ টাকা। কিন্তু আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে মাত্র ৩/৪ টাকা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম বাড়লো কোথায়? এলএমজি গ্যাস আমদানি করে বিতরণ করতে সরকারের খরচ হয় ৬০ টাকা, কিন্তু গ্রাহককে দিতে হচ্ছে মাত্র ১২ টাকায়। যে দামে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি, তার চেয়ে অনেক কম মূল্যে আমরা বিক্রি করছি। খরচের টাকাও নিচ্ছি না।  

‘তা সত্ত্বেও কেন সমালোচনা? কেন আন্দোলন? ভর্তুকি দিয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কম দামে বিক্রি করার পরও যদি কেউ বলে দাম বাড়লো কেন? তাহলে বিদ্যুতের দরকার নেই, উৎপাদন বন্ধ করে দিই সব? বিদ্যুৎ ব্যবহার করার দরকার নেই। তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে খরচ তাই দিতে হবে। আমরা লাভ করতে চাই না। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯/আপডেট: ০০২৫ঘণ্টা
এসকে/এএ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।