ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৈদ্যুতিক গোলযোগে ইসিতে অগ্নিকাণ্ড, ৪ কোটি টাকার ক্ষতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
বৈদ্যুতিক গোলযোগে ইসিতে অগ্নিকাণ্ড, ৪ কোটি টাকার ক্ষতি তিন কোটির ইভিএম পুড়েছে ইসির আগুনে, ফাইল ফটো

ঢাকা: নির্বাচন ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এতে তিন কোটি টাকার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোখলেছুর রহমান বলেন, যেখানে ইভিএম কাস্টমাইজড হয়ে থাকে, সেই জায়গাটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ঘটনাটি ঘটেছিল রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পেরেছি ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ধোঁয়া দৃশ্যমান হয়। তাৎক্ষণিকভাবে যারা ছিলেন, তারা ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টারে ফোন করেন। পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশন থেকে তারা প্রথমে এখানে আসেন এবং পরে ছয়টি ইউনিট আধা ঘণ্টার মধ্যে, ১২টার আগেই আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। সেদিন রাতেই ফায়ার সার্ভিসের ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমরা ইসি সচিবের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছি। বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যারা এ অগ্নিকাণ্ড নিজের চোখে দেখেছেন, বিশেষভাবে ফায়ার সার্ভিসের যে কর্মকর্তারা এখানে ছিলেন ও ইসির যারা ছিলেন, তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। বার বার জায়গাটি পরিদর্শন করে ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এখানে আগুনের সূত্রপাত।

ইভিএম কাস্টমাইজ সেন্টারে সাড়ে চার হাজার ইভিএম মেশিন ছিল। পরবর্তীতে যে সংখ্যক যন্ত্রপাতি ছিলে, সেগুলো গণনা করা হয়। যেগুলো একেবারে ভস্মীভূত হয়েছে এবং একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো আলাদা করেছি। যেগুলো ব্যবহার উপযোগী বা নষ্ট হয়নি কার্টনের ভেতরে ছিল, সেগুলোও আলাদা করেছি। সিভিল কিছু ক্ষতি হয়েছে, ওপরের কাচ, দেয়াল ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু বিল্ডিংয়ের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট ৫৯টি, ব্যাটারি ৪৭টি, ব্যালট ৭৮৯টি, মনিটর এক হাজার ২৩৩টি, ক্যাবল ৫৫৭ সেট, মনিটরের ব্যাটারি ৬৪টি, ল্যাপটপ একটি ও বার কোড স্ক্যানার দুইটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ইভিএম সামগ্রীর আনুমানিক মূল্য তিন কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৩ টাকা। অন্যান্য কিছু ইলেকট্রনিক সামগ্রীও ছিল, তার মধ্যে এসি ছিল নয়টি, সিলিং লাইন ৪৮টি, একটি প্রজেক্টর, হুইল চেয়ার ও অটবি চেয়ার ১৬টি, টেবিল তিনটি, ঘড়ি একটি, সুইচ বোর্ড ১৪টি, বিভিন্ন রকমের নয়টি প্লাগ, ওয়্যারিং চ্যানেল দুই হাজার ফিট, ফ্লোর টাইলস ৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মূল্য ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ৭০০ টাকা। আর পূর্ত ক্ষতি ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৬ টাকা। ইভিএমসহ সবমিলে তিন কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

রোববার ইসির বেজমেন্টে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। যেখানে চার হাজার ৫০০ ইভিএম রাখা ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটিটির দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
ইইউডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।