ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শাহজাদপুরে যমুনার ভাঙনে দিশেহারা এলাকাবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
শাহজাদপুরে যমুনার ভাঙনে দিশেহারা এলাকাবাসী

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুরে যমুনা নদীর পশ্চিম তীর এলাকার ভাঙন থামছেই না। তীব্র ভাঙনে দিশেহারা এনায়েতপুরের অন্তত ৫টি গ্রামের নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ। গত তিনদিন ধরে ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়েছে। এতে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও শিক্ষা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিলীন হয়ে গেছে।  

খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আড়কান্দি থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীঘদিন ধরেই নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে এনায়েতপুর তাঁত কাপড়ের হাট, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়, আঞ্চলিক সড়কসহ প্রায় ২৫ হাজারের মতো তাঁত কারখানা।

 

জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দু’বছর ধরে জালালপুর ইউনিয়নের ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মৌজাই নদীগর্ভে চলে গেছে। তীরবর্তী দু’একটি মৌজা রয়েছে, সেগুলোও ভাঙনের মুখে রয়েছে।  

গত তিনদিন ধরে জালালপুর, বাঐখোলা, ভেঁকা, ঘাটাবাড়ী ও পাকড়তলা এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঐখোলা সরকারি প্রাথিমক বিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নদীগর্ভে চলে গেছে বাঐখোলা মসজিদ। এছাড়াও তিনদিনে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে।  
এনায়েতপুরে অব্যাহত যমুনার ভাঙন।  ছবি: বাংলানিউজ
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, ওই এলাকায় ভাঙনরোধে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বালিভর্তি বস্তা ডাম্পিং করার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া সাড়ে ৬ কিলোমিটার যমুনা নদীর পশ্চিম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রায় ৬৯০ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে এ এলাকার ভাঙনরোধ করা যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।