ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চোরাচালান সন্দেহে গ্রেপ্তার ক্ষমতা দিয়ে কাস্টমস বিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
চোরাচালান সন্দেহে গ্রেপ্তার ক্ষমতা দিয়ে কাস্টমস বিল

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: চোরাচালানে জড়িত সন্দেহে যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার বা পরোয়ানা ছাড়াই গৃহ তল্লাশির ক্ষমতা দিয়ে  ‘কাস্টমস বিল-২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) কাস্টমস আইন ১৯৬৯ রহিত করে ‘কাস্টমস আইন-২০১৯’ বিলটি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া সভাপতিত্ব করেন।

বিলে চোরাচালান প্রতিরোধে কাস্টমস কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা, গৃহ তল্লাশি ও আটকের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা বা চোরাচালানের মাধ্যমে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ ছয় বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি উক্ত পণ্য বাজেয়াপ্ত করাসহ দুই থেকে তিনগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলটি উপস্থাপনের পর এটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একমাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

গত বছর দশম সংসদের ২৩তম অধিবেশনে একই শিরোনামে (কাস্টমস বিল-২০১৮) সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত একটি বিল উত্থাপন করেছিলেন। বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও পাঠানো হয়েছিল। এরমধ্যে দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সরকার বিলটিতে আরো কিছু পরিবর্তন এনে নতুনভাবে ‘কাস্টমস বিল-২০১৯’ শিরোনামে ফের মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেওয়া হয়।

বিলে শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পেলে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা ছাড়াই পণ্য বাজেয়াপ্ত বা জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। ওয়ারহাউস সুবিধার অপব্যবহার করলে তিন বছরের কারদণ্ড এবং শুল্ক পরিশোধ ছাড়া পণ্য খালাসে সহায়তা করলে একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে দুই লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিলে কাস্টমস হাউস বা ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সর্বোচ্চ পরিমাণ জরিমানা আরোপ করতে পারবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯-এর পরিবর্তে বাংলায় একটি আধুনিক কাস্টমস আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিনের। এছাড়া বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত মান সংক্রান্ত কনভেনশন অনুযায়ী আমদানি ও রপ্তানি পণ্যেও সাপ্লাই চেইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরা ও বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার নেতৃত্বে কাস্টমস ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধিবিধান সন্নিবেশ করে নতুন আইন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ট্রেড ফেসিলিয়েশন অ্যাগ্রিমেন্টের কতিপয় ধারাও আইনে অন্তর্ভুক্ত করার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে।

বিদ্যমান কাস্টমস অ্যাক্টকে আরো সহজ স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক, যুগোপযোগী করাসহ বাংলা ভাষায় প্রণয়ণের মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানিকারকসহ সব অংশীজনদের সহজ সেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে ‘কাস্টমস বিল-২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad