ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে ১৪ জেলেকে অপহরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে ১৪ জেলেকে অপহরণ

সাতক্ষীরা: সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া অন্তত ১৪ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করেছে দস্যু আমিনুর বাহিনীর সদস্যরা।

গত তিনদিনে পশ্চিম সুন্দরবনের কলাগাছি, দোবেকী এবং কোবাদক এলাকা থেকে এসব জেলেকে অপহরণ করা হয়।  

অপহৃত জেলেদের মধ্যে রাজ্জাক ওরফে রাজু, এমপি সজল, আবু নাসির, আনারুল, হেলালুজ্জামান ও শাহ আলমের নাম জানা গেছে।

 

বাকিদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা না গেলেও ফিরে আসা জেলেদের দাবি, আরও অন্তত আটজন জেলেকে উল্লিখিত জেলেদের সঙ্গে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে গেছে দস্যুরা।  

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জেলেসহ জিম্মি জেলেদের স্বজনরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দস্যু আমিনুর বাহিনীর পরিচয়ে সাত সদস্যের দলটি ৮ সেপ্টেম্বর দোবেকী এলাকা থেকে শাহআলমও তার ভাইসহ তিনজনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।  

পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর কোবাদক এলাকা থেকে পাঁচ জেলেকে জিম্মি করে তারা। এসময় জিম্মি জেলেদের দুই সহযোগীকে মারপিট করে বাড়িতে ফেরার সুযোগ দেয় শিগগিরই জিম্মি জেলেদের জন্য দাবিকৃত টাকা পরিশোধের জন্য।  

এসময় দস্যু দলটি ০১৯৫৩৭২৫৬৫০ নম্বরে যোগাযোগের পরার্মশ দিয়ে ওই দুই জেলেকে ছেড়ে দেয় বলেও ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন।  

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর সকালে বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বনে প্রবেশের পরপরই একই বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সজলসহ ছয় জেলেকে অপহরণ করে। নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে ফোন করে পরবর্তীতে মুক্তিপণের টাকা কোথায় কখন কীভাবে পৌঁছাতে হবে তাও জানিয়ে দেয় তারা।  

এদিকে, স্থানীয় কয়েকজন জেলে দাবি করেছেন, সজলদের কিছু সময় আগেই নীলডুমুর গ্রামের আব্দুল হাকিমসহ তার কয়েক ভাইয়ের পাঁচটি নৌকা পাল তুলে সুন্দরবনের ভিতরে প্রবেশ করলেও দস্যুরা তাদের কিছু বলেনি।  তবে তার কিছুক্ষণ বাদেই সজলদের কয়েকটি নৌকা একই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় দস্যুরা নৌকাগুলো আটক করে নৌকা ও বহর পিছু একজন করে মোট ছয়জনকে তুলে নেয়।  

ফিরে আসা এসব জেলের অভিযোগ, আগের বহরে দস্যু আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুরের ভাইরা ভাই ও তার ভাইয়েরা ছিল।  

জেলেদের দাবি, আমিনুরের ওই ভাইরা ভাই ইতোপূর্বে তার পক্ষে মুক্তিপণের টাকা গ্রহণ করে পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন।  

এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বাংলানিউজকে জানান, জেলে অপহরণের বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।