ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খাগড়াছড়িতে সড়ক যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
খাগড়াছড়িতে সড়ক যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন বদলে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: বেশ কিছুদিন আগেও খাগড়াছড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না। অস্থায়ী ভিত্তিতে তৈরি করা বেইলি সেতুগুলো ছিল এর মূল কারণ। এতে নানা সময় দুর্ঘটনা ঘটতো। লক্কর ঝক্কর সেতুগুলোতে যান চলাচলের সময় কখনো পাটাতন খুলে যেত, আবার কখনোবা যানবাহনের ভারে ধসে পড়তো। আর এ ব্রিজগুলো পুনরায় মেরামত করতে দীর্ঘ সময়ও লেগে যেত। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যেত না। ভোগান্তিতে পড়তে হতো যাত্রীদের। তবে এগুলো এখন অতীত।

এখন পরিস্থিতির বদল ঘটেছে। বেইলি সেতুর পরিবর্তে বানানো হয়েছে স্থায়ী সেতু।

বর্তমানে আঞ্চলিক সড়কে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলেও অভ্যন্তরীণ সড়কে চলছে সেতু নির্মাণ কাজ। বেইলির বদলে স্থায়ী সেতু নির্মাণ হওয়ায় খুশি স্থানীয়রাও।

জানা যায়, ইস্টার্ণ বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুবমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় খাগড়াছড়িতে ১ শত ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪টি আঞ্চলিক সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এতে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ঢাকার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন।

অপর একটি প্রকল্পের আওতায় ২ শত ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩টি সেতু ও ১৩টি কালভার্ট নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই কাজগুলো শেষ হলে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কেও স্থায়ী সমস্যার সমাধান হবে।

অভ্যন্তরণী সড়কেও চলছে সেতুর নির্মাণকাজ।  ছবি: বাংলানিউজ

স্থানীয় বাসিন্দা নজির হোসেন ও আকবর আলী বাংলানিউজকে জানান, আগে বেইলি ব্রিজের কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটতো। অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। গন্তব্যে পৌঁছাতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগতো। স্থায়ী সেতু হওয়ায় মানুষ খুশি। এখন সহজে এবং নিরাপদে নির্ধারিত সময়মতো গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, আগে আমাদের কষ্ট হতো বেশি। কখনো এখানে কখনো ওখানে হুটহাট বেইলি ব্রিজগুলোর পাটাতন খুলে যেত, আবার কখনো ধসে পড়তো নিচে। এতে দুর্ঘটনা যেমন ঘটতো তেমনি যাত্রীদের দুর্ভোগও পোহাতে হতো। এখন খুব সহজে এবং নিরাপদে যাতায়াত করা যাচ্ছে।

অভ্যন্তরীণ সড়কেও নির্মাণাধীন সেতুগুলোর কাজ শেষ হলে সড়ক যোগাযোগে বিপ্লব ঘটবে বলে জানান তিনি।

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে স্থানীয়দের যেমন দুর্ভোগ কমেছে তেমনি জেলার পর্যটনখাত সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এডি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।