ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শালিখায় গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
শালিখায় গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগ নিহত সুমাইয়ার মরদেহ। ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: মাগুরার শালিখা উপজেলা সদরের আড়পাড়ায় মঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসনা হেনার বাসায় সুমাইয়া খাতুন (১৫) নামে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের দাবি সে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  

অন্যদিকে নিহত সুমাইয়ার স্বজনদের অভিযোগ তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তবে পুলিশ বলছে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না-তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের  মামা আজিজুর রহমান জানান, মাগুরা সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের বিল্লাল মোল্যার মেয়ে তার ভাগ্নি সুমাইয়া খাতুন রচনা ৬-৭ বছর ধরে চেয়ারম্যান হাসনা হেনার বাসায় কাজ করে আসছে। শুক্রবার রাতে রচনার বড় বোন সোনিয়া চেয়ারম্যানের বাড়িতে ছোট বোনকে দেখতে যায়, কিন্তু তাকে বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ছোট বোনের সঙ্গে দেখা না করতে পেরে সোনিয়া কাঁদতে-কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে। শনিবার সকালে চেয়ারম্যান ফোন দিয়ে তার বাবাকে জানায়, তার মেয়ে রচনা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল মোল্লা অভিযোগ করেন, তারা খবর পেয়ে পুলিশের সঙ্গে মরদেহ উদ্ধারে গিয়ে দেখতে পান রচনার বাম পা খাটের উপর হাঁটু ভাঁজ করা ও ডান পা খাটের নিচে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন রচনাকে হত্যা করে এভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।    

মঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনা হেনা জানান, রচনা প্রায় ৭ বছর আমার বাসায় কাজ করছে। কিন্তু কি কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে তা তিনি বলতে পারছেন না।

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরীকুল ইসলাম জানান, মেয়েটি খাটের মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। তবে ময়না-তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।