ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈর বিরুদ্ধে গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমূল্য রতন হালদারকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের ধারাবাশাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  

শিক্ষক অমূল্য রতন হালদার কান্দি ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামের মহেন্দ্রলাল হালদারের ছেলে।

বর্তমানে তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার মাচারতারা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ ঘরামী নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্র ক্লাসে পড়া না পারার কারণে গণিত শিক্ষক আশীষ চন্দ্র বড়াল মারধর করেন। ঘটনাটি সবুজ তার বাবা সুশীল ঘরামীকে জানালে তিনি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈর স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য রীনা রাণী মণ্ডলকে জানান।

বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ধারাবাশাইল বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ ও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র হালদারের ভাই গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমূল্য রতন হালদারের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ ও তার ভাই মনি বাড়ৈ শিক্ষক অমূল্য রতন হালদারকে মারধর করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ বাংলানিউজকে বলেন, আমি শিক্ষক অমূল্য হালদারকে মারধর করিনি। অমূল্য হালদার মাচারতারা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিষয়টি নিয়ে আমার মা-বাপ তুলে গালিগালাজ করেছে। তখন আমার ভাই মনি বাড়ৈর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। অমূল্য রতন হালদার শিক্ষক হলেও এলাকায় একজন খারাপ প্রকৃতির মানুষ। তার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন কয়েক মাস আগে থানায় জিডি করেছে। এছাড়া অমূল্য রতন হালদারের ভাই মাচারতারা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র হালদার বিদ্যালয়টিতে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে।  

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমার স্ত্রী রীনা রাণী মণ্ডল এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় এই শিক্ষকরা দুই ভাই আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ধরনের মিথ্যাচার করছে।  

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়াটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তবে উভয়পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।