ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

রংপুরে নদীভাঙন রোধে প্রকল্প, রক্ষা পাবে ১৫০০ হেক্টর জমি

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯
রংপুরে নদীভাঙন রোধে প্রকল্প, রক্ষা পাবে ১৫০০ হেক্টর জমি নদীভাঙন, বাংলানিউজ ফাইল ফটো

ঢাকা: রংপুরের মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ ও রংপুর সদর উপজেলায় যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর তীর সংরক্ষণ ও নদী পুনঃখনন করবে সরকার। এতে বছরে প্রায় এক হাজার ৫০০ হেক্টর উর্বর ফসলি কৃষি জমি ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

এছাড়া প্রায় ৫৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার অবকাঠামো; যেমন- স্কুল, কলেজ, বাজার, হাট, ব্রিজ ও রাস্তাও রক্ষা পাবে। এসব রক্ষার জন্য ১৩৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

একইসঙ্গে প্রকল্প এলাকায় বসবাসরত দুঃস্থ পরিবারগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও কাজ করা হবে। এজন্য পরিকল্পনা কমিশনে ‘রংপুর জেলার মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ ও রংপুর সদর উপজেলায় যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর তীর সংরক্ষণ ও নদী পুনঃখনন ’ প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে।

পাউবো সূত্র জানায়, নদী গর্ভ থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে। যা আবাদের মাধ্যমে এলাকার অর্থনৈতিক কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। জেলা ও উপজেলা সদরের জনসাধারণের চলাচলেও স্বস্তি ফিরবে। প্রকল্প এলাকার যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর তীর বরাবর পাঁচ হাজার ৬৫০ মিটার (প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার) এলাকার নদী ভাঙন স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব হবে। ৬৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৩ ঘনমিটার ডুবোচর অপসারণের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে বলে জানায় পাউবো।

পাউবো সূত্র এও জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে কৃষি জমি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার মাধ্যমে কৃষি, উৎপাদন বৃদ্ধি করাসহ স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানো যাবে। কারণ প্রকল্প এলাকায় বসবাসরত অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এসব নদীর তীরবর্তী জনগণের কাঁচা-পাকা বাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, সম্পদ, গরু, ছাগল সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ বন্যার পানির স্রোতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মন্টু কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, নদীর তীর সংরক্ষণ ও নদী খননে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এসব কাজের জন্য মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম রংপুরে নদীখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ১৫০০ হেক্টর উর্বর জমি রক্ষা করা যাবে। এসব এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে প্রকল্পটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০০, ২০১৯
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।