ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সংঘবদ্ধ বলাৎকারের পর শ্বাসরোধ হত্যা করা হয় এমরানকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯
সংঘবদ্ধ বলাৎকারের পর শ্বাসরোধ হত্যা করা হয় এমরানকে সংবাদ সম্মেলন।

নোয়াখালী: চার জন মিলে বলাৎকারের পর ৮ বছরের শিশু এমরানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহটি একটি পরিত্যক্ত ঘরের মাছের বাক্সে রেখে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত ওয়াসিমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন  পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন।

এমরান হত্যার আট দিনের মাথায় ‘ক্লুলেস’ এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ। গত ২৫ আগস্ট রাতে ছয়ানী বাজারে পরিত্যক্ত একটি ঘরের মাছের ঝুড়ি থেকে এমরানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে এসপি জানান, গোপন তথ্যের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি মো.ওয়াসিম আকরামকে (২০) গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় ছয়ানী বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার ৫ নম্বর ছয়ানী ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের বরন্দাজ বাড়ি ও বর্তমানে একই ইউনিয়নের বড় মেহেদীপুর গ্রামের মহিনের নতুন বাড়ির আব্দুর রহমান মহিনের ছেলে।  

পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ওয়াসিম স্বীকার করেন গত ২২ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সেসহ মোট ৪ জন শিশু এমরানকে পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে শিশু এমরানকে বলাৎকার করে।  

একপর্যায়ে শিশুটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকলে তারা গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে মরদেহটি প্লাস্টিকের মাছের ঝুড়িতে ভরে পরিত্যক্ত ওই ঘরে লুকিয়ে রাখে।

গ্রেফতারকৃত আসামি ওয়াসিম হত্যার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব উদ্দিন খানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ ৮ দিনের মধ্যে ‘ক্লুলেস’ এ হত্যার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

নিহত এমরান ছয়ানী ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের শামছুল হকের ছেলে। সে ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

জানা যায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী বাজারের একটি পরিত্যক্ত ঘরের মাছের ঝুড়ি থেকে গত ২৫ আগস্ট এমরান হোসেন নামে ৮ বছের এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। সেসময় শিশুটির চেহারা বিকৃত এবং গলায় রশি পেঁচানো ছিল। মুখমণ্ডল বিকৃত থাকায় অনেক চেষ্টার পর প্যান্টের স্টিকার দেখে মরদেহটি নিখোঁজ শিশু এমরানের বলে শনাক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় এমরানের বাবা শামছুল হক বেগমগঞ্জ থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। পরে এজহারের ভিত্তিতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

** বেগমগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
আরএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।