ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডাম্পিং স্টেশন থেকেও হতে পারে এডিস মশার ‘প্রজনন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯
ডাম্পিং স্টেশন থেকেও হতে পারে এডিস মশার ‘প্রজনন’ অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ফেলে রাখা হয়েছে বহু গাড়ি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বহনকারী এডিস মশার বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাড়ি ও স্থাপনায়। চিহ্নিত করা হচ্ছে এডিস মশার প্রজনন সহায়ক স্থান। কিন্তু অধরা থেকে যাচ্ছে রাজধানীর ডাম্পিং স্টেশনগুলো। 

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকালে আগারগাঁও সরকারি সংগীত কলেজের সামনের  ডাম্পিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, এখানে রাখা হয়েছে পুরাতন, ভাঙাচোরা বহু যানবাহন। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ফেলে রাখা হয়েছে দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বেশ কিছু যানবাহন।

এসব স্থানে ও যানবাহনের ভেতরে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। বহুদিন এগুলো পরিষ্কার করা হয় না এটা সহজেই অনুমেয়। এখান থেকেও জন্ম নিতে পারে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বহনকারী এডিস মশা।

আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনের সড়ক পরিষ্কার করছিলেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নকর্মী শাহীন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদেরকে রাস্তায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। ডাম্পিং স্টেশনের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য আমাদেরকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।  

পথচারী ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের আগারগাঁও এলাকায় দুইটি ডাম্পিং স্টেশন আছে। আগারগাঁও সরকারি সংগীত কলেজের সামনে একটি। আর অপরটি শেরেবাংলানগর পুরাতন থানার জায়গায়। দেশে ডেঙ্গু আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও এখনো ডাম্পিং স্টেশন গুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এখান থেকেও এডিস মশার প্রজনন হতে পারে! 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি সংগীত কলেজের সামনে ডাম্পিং স্টেশন গত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমি পরিষ্কার করতে দেখিনি। এখান থেকেও এডিস মশার জন্ম হতে পারে, ডেঙ্গু ছড়াতে পারে।

ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের চিরুনি অভিযান চলমান। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে সাব সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। যদি সেই সাব সেক্টরে ডাম্পিং স্টেশন গুলো পড়ে থাকে, তাহলে পরিষ্কার করা হবে। এখনো সব সাব সেক্টরের কাজ করা শেষ হয়নি। ডাম্পিং স্টেশন কোনো একটি সাব-সেক্টরে আছে। পর্যায়ক্রমে পরিষ্কার করা হবে।

এডিশ মশার বিস্তার ঘটতে পারে ডাম্পিং স্টেশনগুলো থেকেও। ছবি: বাংলানিউজ

রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. এ এস এম আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, এনথ্রপলজির সার্ভেতে কোনো-না-কোনো ডাম্পিং স্টেশনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। ডাম্পিং হোক বা অন্য কোথাও স্বচ্ছ পানি জমলে সেখানে এডিস মশা ডিম পাড়বে। সেখানেই পাওয়া যাবে এডিস মশার লার্ভা।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এমএমআই/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad