ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রায়পুরায় প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, প্রেমিকসহ গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯
রায়পুরায় প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, প্রেমিকসহ গ্রেফতার ২

নরসিংদী: বিয়ের আশ্বাস দিয়ে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় এক নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্তরা। 

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা আক্তারের আদালতে তারা জবানবন্দি দেন।

নির্যাতনের শিকার ওই নারী গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ও গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।

গ্রেফতাররা হলেন- ওই মেয়ের প্রেমিক রায়পুরার বেগমাবাদ হুগলাকান্দি গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া (২০)ও তার সহযোগী একই উপজেলার ঘাগটিয়া আলগী এলাকার হুছন উদ্দিনের ছেলে শামীম মিয়া (১৯)।  

এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত একই উপজেলার বেগমাবাদ পল্টন এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া পলাতক রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা ও এক সন্তানের জননী নারীর সঙ্গে দেড় বছর আগে রায়পুরার শিপনের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক বছর ধরে তাদের মধ্যে ফোনালাপ চলছিল। প্রেমের সম্পর্কের জেরে শিপন মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে রাজিও হন তিনি। পরে তাকে রায়পুরা আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। শিপনের কথামতো রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে রায়পুরায় আসেন ওই নারী। রায়পুরার নীলকুঠি বাসস্ট্যান্ডে নামার পর শিপন ও তার দুই সহযোগী শামীম এবং রুবেল ওই নারীকে খাবার খাওয়ার কথা বলে একটি গ্যারেজে নিয়ে যান। সেখানে প্রেমিক শিপন একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তার দুই সহযোগীও পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এসময় মেয়েটির চিৎকার দিলে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়। রাতে এক পর্যায়ে কৌশলে ওই নারী গ্যারেজ থেকে পালিয়ে বের হয়ে আসেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় গিয়ে ওই তিন জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।  

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত শিপন ও শামীমকে গ্রেফতার করে। ওই সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্তরা। পরে অভিযুক্তদের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা আক্তারের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানেও তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি, অপারেশন) মোজাফ্ফর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই নারীকে রায়পুরায় আনা হয়েছিল। পরে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সন্ধ্যায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।