ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিডিআর বিদ্রোহ: সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে ২৪ ব্যাটালিয়নের অভিযুক্তদের মূল বিচার শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১০
বিডিআর বিদ্রোহ: সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে ২৪ ব্যাটালিয়নের অভিযুক্তদের মূল বিচার শুরু

ঢাকা: বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অভিযুক্ত সদস্যদের বিচারের মূল কাজ আজ শনিবার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।

পিলখানার দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালত ৫-এ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ।

চলে দুপুর ১টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত।  এরপর আদালত রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করেন।

শনিবার সকালে মামলার বাদি ও সাক্ষী জেসিও সুবেদার মো. মতিউর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ শুনানি। প্রসিকিউটর লে. কর্নেল শামসুর রহমান তার সাক্ষ্য নেন।

বিশেষ আদালতে সভাপতিত্ব করছেন বিডিআর-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম। এতে দোষ স্বীকারকারী ২৯ জনসহ ৬৬৭ বিদ্রোহীকে হাজির করা হয়।

আদালত অভিযুক্তদের নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের জন্য তিন ধরনের সুযোগ রেখেছেন। এগুলো হলো- আত্মপক্ষ সমর্থন, বেসামরিক আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া এবং ফ্রেন্ডস অব দ্য একিউজড।

আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, মোবাইল কলের তালিকা ও ছুটির নথিপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত এসব স্থিরচিত্র লেমিনেট করতে ও ভিডিও ফুটেজ সিডি আকারে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।

শুনানিতে আদালতকে সহযোগিতা করেন বিচার কর্মকর্তা লে. কর্নেল এ কে এম গোলাম রব্বানী, মেজর সাইদ ও অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধি ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট  মো. সোহরায়ার্দী।

রোববার আসামিরা সাক্ষীদের জেরা করবেন।

উল্লেখ্য, বিডিআর সদস্যরা বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায়  ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ করেন। পরে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি জুড়ে পিলখানার ভিতরে হত্যাযজ্ঞ চলে। ওই বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত হন বিডিআরে নিযুক্ত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৩ জন।

বিডিআরের বিদ্রোহী সদস্যদের বিচারের জন্য গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকায় দুটিসহ ৬টি বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। বিডিআর আইনে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ধরা হয়েছে সাত বছর কারাদণ্ড।

ওই মামলায় ফেনী, সাতক্ষীরা, রাঙামাটি, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও সুনামগঞ্জে স্থাপিত আদালতের রায়ে এরই মধ্যে অনেক বিডিআর সদস্যের সর্বোচ্চ সাত বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।