ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কপিরাইট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
কপিরাইট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, যথাসময়ে কপিরাইট ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে যেন একটি দিনও সময় বেশি না লাগে।  

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিস আয়োজিত ‘কপিরাইট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।  

প্রতিমন্ত্রী এ সময় আগামী ১৮ মাসের মধ্যে, অর্থাৎ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

 

তিনি বলেন, বিদ্যমান কপিরাইট আইন আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে এবং আগামী মাসে আইনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।

প্রতিমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করে বলেন, নির্মাণাধীন কপিরাইট ভবন একটি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় পরিণত হবে, যার মাধ্যমে কপিরাইট অফিসের কার্যক্রম আরো বেগবান ও ত্বরান্বিত হবে।  

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাহাদত হোসেন।  

স্বাগত বক্তৃতা রাখেন, বাংলাদেশ কপিরাইট ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সাঈদ আল আমিন মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ ইয়ামিন উল ইসলাম, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল অ্যান্ড বঙ্গ বিল্ডার্সের (জেভি) পক্ষে জামিল ইকবাল ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর।  

এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে কপিরাইট ব্যবস্থাপনাকে বিশ্বের উন্নত দেশের পর্যায়ে উন্নীত করা এবং সৃজনশীল মেধাসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা। এছাড়াও দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি মেধাস্বত্ত্ব উদ্ভাবকগণের রয়্যালিটি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি দেশের সব পর্যায়ের জনগণকে কপিরাইট সম্পর্কে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা।

৪৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে দু’টি বেজমেন্টসহ ১২তলা এ ভবন নির্মাণের জন্য ২০০৮ সালে রাজধানীর আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় এফ-২০/বি নং প্লটে ১.৪ বিঘা জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয় এবং ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে সরেজমিনে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।  পরবর্তীতে নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ২০১৭ সালের ১ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের জায়গা অবৈধ দখলদারদের কবলে থাকায় যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়।  

প্রকল্পটির মেয়াদ জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত থাকলেও গত ১২ জুন ২০১৭ তারিখে প্রকল্পের প্রশাসনিক আদেশ জারি করা হয় এবং আগস্ট ২০১৭ মাসে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমান মেয়াদে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ওই সিদ্ধান্তের আলোকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায়  গত ১৪ মার্চ ২০১৯ তারিখে ২১৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় এবং প্রকল্পটির মেয়াদ জুন ২০২০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এইচএমএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।