ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মিলিটারিকে শক্ত করতেই ওসমানীকে এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
মিলিটারিকে শক্ত করতেই ওসমানীকে এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, মিলিটারিকে শক্তভাবে গড়ে তোলার জন্যই মুক্তিবাহিনীর প্রধান জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে রাজনীতিতে এনেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিবাহিনীর প্রধান জেনারেল এমএজি ওসমানীর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ‘বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদ’।

এমএ মান্নান বলেন, আতাউল গণি ওসমানী একজন সফল মানুষ ছিলেন। তার অবদান ভোলা সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় যাদের নাম আগে আসবে, তিনি তাদের একজন।  

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে সত্তরের নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে সংসদে এনেছিলেন। তাকে আনা হয়েছিল মিলিটারিকে শক্তভাবে গড়ে তোলার জন্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, তিনি এদেশের রাজনীতিতে এমন একটা সময় এসেছিলে, যখন দেশ উত্তাল ছিল। নির্যাতন-নিপিড়নের বিরুদ্ধে ছিলেন। পাকিস্তানিরা বাঙালিদের অধিকার দেবে না বলেই ছয়টি রেজিমেন্ট খুব প্রজ্ঞার সঙ্গে গঠন করিয়ে নিয়েছিলেন। তার এসব তৎপরতার জন্যই তাকে কর্নেলের ওপরে আর পদোন্নতি দেয়নি। অথচ ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ্যতার জন্য সর্বকনিষ্ঠ মেজর হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। তার নেতৃত্বেই ১৯ নভেম্বর ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনী গঠন হয়। তিনি হন সেনাবাহিনীর প্রধান।

সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সভাপতি ও সাবেক সেনাপ্রধান কেএম শফিউল্লাহ বলেন, এমএজি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন সেনাপ্রধান। তাকে অনেকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বলে ভুল করেন। এতে তাকে অশ্রদ্ধা করা হয়। আটটি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মধ্যে তৃতীয় থেকে অষ্টম রেজিমেন্ট তার উদ্যোগে গঠিত হয়। তবে বেঙ্গল রেজিমেন্টের গঠন হলেও আমাদের অস্ত্র পাকিস্তানবাহিনী হেড কোয়ার্টারে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আপনারা সেই দেশের নাগরিক। নতুন প্রজন্মকে কোনো কষ্ট আর করতে হবে না। কেবল অন্যায় যাতে না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দা মাসুদা খাজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে  হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালেক, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. একে আব্দুল মুবিন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা চার দফা বাস্তবায়নের দাবি তোলেন সভায়। এগুলো হলো- ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক তার নামে নামকরণ, পাঠ্যসূচিতে ওসমানী অবদান অন্তর্ভুক্তিকরণ ও ওসমানী স্মৃতি সংরক্ষণ।

**‘বন্ধুরা চাননি ওসমানীর কাছে নিয়াজী আত্মসমর্পণ করুন’
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।