ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রেনের ছাদ-ইঞ্জিনে ভ্রমণ করলেই জেল-জরিমানা

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
ট্রেনের ছাদ-ইঞ্জিনে ভ্রমণ করলেই জেল-জরিমানা ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান। ছবি: বাংলানিউজ

ঈশ্বরদী (পাবনা): বিনা টিকিটের কিছু যাত্রীদের জন্য এ বছর রেলওয়ের সুনাম নষ্ট হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃত এবং বেআইনিভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদ ও ইঞ্জিনে ভ্রমণ করেছেন। ট্রেনের ছাদে উঠতে ও নামতে সময় নষ্ট হয়। এসময় চালক ও ট্রেন পরিচালক ট্রেন ছাড়তে পারেন না। কারণ ট্রেনের ছাদে ওঠা-নামার সিঁড়ি নেই, তাই ওঠা-নামা করতে দেরি হওয়ায়  শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। ট্রেন যাত্রীরা ভ্রমণকালে বিড়ম্বনার শিকার হন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। 

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে বেআইনিভাবে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে এসে পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্হাপক আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া বাংলানিউজকে একথা বলেন।  

রোববার থেকে এ ধরনের ভ্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মাঠে নেমেছেন।

    


   
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদ-ইঞ্জিনে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে আহসান উল্লাহ বলেন, অনিরাপদ ভ্রমণে ট্রেন যাত্রীর অঙ্গহানী বা জীবন বিপন্ন হতে পারে। যাত্রী সাধারণ আহত হতে পারেন। ১৮৯০ সনের রেলওয়ে আইনের ১২৯ নম্বর ধারা অনুয়ায়ী-যদি কোনো ব্যক্তি বিপজ্জনক বা বেপরোয়া কাজের দ্বারা অবহেলা করে কোনো যাত্রীর জীবন বিপন্ন করেন, তবে তিনি এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

তার আগে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ওপর দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রেন যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে ও বাফারে ভ্রমণ না করার জন্য বিশেষ সতর্ক করেন। পরে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের স্ব-স্ব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্কবার্তা লিফলেট বিলি করে স্টেশনের প্লাটফর্ম চত্বর পরিদর্শন করেন।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্হাপক (ডিআরএম) আহসান উল্লাহ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) আনোয়ার হোসেন, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল, পাকশী বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম, পাকশী বিভাগীয়, সংকেত ও টেলিকম প্রকৌশলী রুবাইয়াত শরীফ প্রান্ত, পাকশী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট রেজা-উন রহমান, ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিআই) সাজেদুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ গার্ড কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, ট্রেন পরিচালক শাহ আলম, আলমগীর হোসেন, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট শেখ আসলাম উদ্দিন প্রমুখ।    

জানা যায়- সকাল থেকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনের ওপর দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রেনে ব্লক চেকিং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে যেন কোনো বিনাটিকিটের যাত্রী ভ্রমণ করতে না পারেন- সেজন্য স্টেশন কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বরত রেলওয়ে কর্মচারী, রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ওপর দিয়ে চলাচলকারী কোনো ট্রেনের ছাদে বা ইঞ্জিনে কোনো যাত্রীকে লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।